নিজস্ব প্রতিবেদক
শুক্রবার সকাল থেকে চট্টগ্রামের গুটি গুটি বৃষ্টি কোন কোন জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বজ্রপাত হয়েছে সকাল থেকেই কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি, কখনো হালকা বৃষ্টি হয়। মাঝে মাঝে রোদের দেখাও মেলে। তবে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়তে থাকে। সাড়ে ৭টার পর ভারী বর্ষণ শুরু হয়। চট্টগ্রাম নগরীতে মাত্র ঘণ্টাখানেকের টানা বৃষ্টিতেই ডুবে গেছে শহরের বিভিন্ন এলাকা। এদিকে চট্টগ্রামের ২ নম্বর গেট এলাকায় মুরাদপুর বহদ্দারহাট সহ হাঁটু সমান পানি হয়ে যায় শুক্রবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় ইফতার শেষে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন ঈদের কেনাকাটার
জন্য বের হওয়া লোকজন। বিভিন্ন এলাকায় নালা উপচে সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। তবে রাত ১১ টার পর পানি কমে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয় আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। ভারী বৃষ্টি শুরুর পর নগরীর প্রবর্তক মোড়, ষোলশহর, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, চকবাজার ও বাকলিয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। সেখানে কোথাও হাঁটু পানি জমে যেতে দেখা গেছে।মূল সড়কের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় অলিগলিও পানিতে সয়লাব হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তি
বেড়েছে বাসাবাড়ির বাসিন্দাদের। চকবাজার-বাকলিয়ায় বাসায় পানি ঢুকে গেছে বলে জানিয়েছেন বড় স্তন এলাকার বাসিন্দা। জিয়াউল হক এই এলাকার বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘নালা-নর্দমাগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার না করায় অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।’নগরীর প্রবর্তক মোড়ে পানির মধ্যে বিকল হয়ে যাওয়া অটোরিকশা নিয়ে আটকে পড়েছিলেন চালক রুহুল আমিন। তিনি জানান, হঠাৎ জলাবদ্ধতায় অটোরিকশার পাশাপাশি কিছু বাস, ট্রাকও আটকা পড়ে। বিভিন্নস্থানে অটোরিকশা থেকে যাত্রী নামিয়ে দেওয়া হয়েছে এদিকে বৃষ্টির সময় রাস্তায় গাড়ি চলাচল কমে যায়। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ে চট্টগ্রামবাসী।