
নিউজ ডেক্স
রাশিয়া বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে প্রায় বছর খানেক হয়েছে। ফুটবল প্রেমীদের অপেক্ষা এখন ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের। আসন্ন ফুটবল মহাযজ্ঞের আয়োজনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ। কাতারে তৈরি করছে একের পর এক সুদৃশ্য স্টেডিয়াম। যা একরকম মৃত্যুকূপ হয়ে উঠছে।প্রতিনিয়ত মৃত্যুকূপে জাব দিচ্ছে বিভিন্ন দেশের প্রবাসী শ্রমিকেরা বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রবাসী শ্রমিকরা পরিবারের মুখে হাসি ফুটাতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যান এদিকে কাতারে ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের জন্য স্টেডিয়াম নির্মাণ করতে গিয়ে অন্তত ১৪০০ নেপালি শ্রমিকের মৃত্যু
হয়েছে। কয়েক বছর ধরে দেশটিতে বেশকিছু স্টেডিয়াম নির্মাণকাজ চলাকালীন তাদের প্রাণহানি ঘটে বলে দাবি করেছেন ওয়াইডিআর।জার্মানভিত্তিক পাবলিক ব্রডকাস্টার ওয়েস্টডাশ্চার রান্ডফাঙ্ক কোল (ওয়াইডিআর) তাদের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। ওয়েস্টডাশ্চার রান্ডফাঙ্ক কোল তাদের তথ্যচিত্রভিত্তিক ওই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের শিরোনাম দিয়েছে ‘ট্র্যাপড ইন কাতার’ অর্থাৎ কাতারের ফাঁদ।ওয়াইডিআ সম্প্রতি এই প্রতিবেদনটি সম্প্রচার করেছে। তাতে দেখানো হয়েছে, কীভাবে নির্মাণাধীন ভবনগুলোর ভেতরেই ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস
করছেন শ্রমিকরা। তাদের নিরাপত্তার জন্য ন্যূনতম ব্যবস্থাও গ্রহণ করেনি দেশটির কর্তৃপক্ষ এবং সে দেশের সরকার।সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় দৈনিক আরব নিউজও এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাদের প্রতিবেদনে নেপালের শ্রম মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নারায়ণ রেগমিকে উদ্ধৃত করে বলা হচ্ছে, ‘এটা একটা সত্য ঘটনা যে, গত কয়েক বছরে কাতারে অনেক নেপালি শ্রমিক তাদের জীবন হারিয়েছে।’ মূলত এসব শ্রমিকের মৃত্যুর কারণ ঝুঁকিপূর্ণ কাজের জন্য এবং শ্রমিকদের জন্য নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।এই প্রতিবেদন নেপাল সরকারের দেয়া
হিসাবের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনা এবং ঝুঁকিপূর্ণ ও নিম্নমানের জীবনযাপনের কারণে প্রতি বছর দেশটির প্রায় ১১০ জন মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে সেখানে। নিহতদের পরিবারের সদস্যরা ওয়াইডিআরকে বলেছে, তারা কাতার সরকারের কাছ থেকে কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণও পায়নি।বিশ্বকাপের মতো আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম তৈরি করছে কাতার কিন্তু শ্রমিকদের জন্য নিরাপত্তার কোন ব্যবস্থা নেয়নি আর শ্রমিকরা ডিউটি অবস্থায় দুর্ঘটনায় নিহত হলে তাদের পরিবারের কাছে কোনো ক্ষতিপূরণ ও দেওয়া হয় না