
উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে অটিষ্টিক শিশুদের সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপনে অভ্যস্ত করতে অদম্য প্রচেষ্টার বিকল্প নেই। অটিজম শিশু-কিশোরদের দক্ষতা বৃদ্ধিকল্পে শিক্ষক ও অভিভাবকদের প্রশিক্ষণ গ্রহণ জরুরী। অটিজমবান্ধব সমাজ প্রতিষ্ঠায় সরকারের পাশাপাশি সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম। চট্টগ্রামস্থ সেহের অটিজম সেন্টার’র উদ্যোগে ২দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে উপরোক্ত বক্তব্য দেন এম এ সালাম। সেহের অটিজম
সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক তাবাসসুম জেরিন’র সভাপতিত্বে গত ১৯ ও ২০ জুলাই বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ)’র কনফারেন্স হলে “অটিজম ও অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের ইন্দ্রিয়গত মৌখিক অঙ্গ স ালন এবং কথার উন্নয়নগত সমস্যা নিরসন” শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান বক্তা হিসেবে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন, ভারত থেকে আগত অটিজম বিষয়ক আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ ড. মালবিকা সামনানি। এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম’র সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহার’র স ালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট’র প্রিন্সিপাল
ক্যাপ্টেন ফয়সাল আজীম, দেশ মেডিক্যাল সার্ভিস’র এমডি কাজী মুনির উদ্দীন আহমেদ, রোটারিয়ান তাহমিনা খান জামান, রোটারিয়ান সাইদুল করিম, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য জাফর আহমদ, রোটারিয়ান সেলিনা রহমান, তরুণ উদ্যোক্তা লায়ন এম এ হোসেন বাদল, সমাজকর্মী নেছার আহমেদ খান, ডেল্টা ইমিগ্রেশন’র সিইও মো: আলমগীর, হাটহাজারী ছাত্র সমিতি’র সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন পেয়ারু, লিও আশিকুল আলম প্রমুখ। প্রশিক্ষক ড. মালবিকা সামনানি বলেন-অটিজম শিশুদের বিকাশগত একটি সমস্যা। অটিজম ও অন্যান্য
প্রতিবন্ধীদের মনের ভাব প্রকাশের লক্ষ্যে তাদের কথার উন্নয়নগত সমস্যা নিরসনে নিয়মিত বহুমাত্রিক কৌশল গ্রহণ করতে হবে। তাদের ইন্দ্রিয়গত মৌখিক অঙ্গ স ালন যাতে সঠিকভাবে কাজ করে এবং কথার উন্নয়ন ঘটে সে জন্য অভিভাবক ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ নেয়া জরুরী। অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুরা সাধারণত অপরের সাথে ঠিকমতো যোগাযোগ করতে পারে না, তারা অতিরিক্ত জেদী হয়ে থাকে এবং নিজেকে বিচ্ছিন্ন ও গুটিয়ে রাখার মানসিকতাসম্পন্ন হয়ে থাকে। অটিজমের সুনির্দিষ্ট কোন কারণ নেই। তবে, জেনেটিক, নন-
জেনেটিক ও পরিবেশগত প্রভাব সমন্বিতভাবে অটিজমের জন্য দায়ী। শিশুর বিকাশে প্রাথমিক পর্যায়ে এটি সৃষ্টি হয়। এ পর্যন্ত পরিচর্যাই এর একমাত্র বিকল্প। অটিজমে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্কদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়তা অত্যধিক বৃদ্ধি করতে হবে। উল্লেখ্য, ২দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের সনদপত্র তুলে দেন প্রধান অতিথি এম এ সালাম ও কী নোট স্পীকার ড. মালবিকা সামনানি।