নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলে ধরা গুজবে সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে তাদের সবাইকে খুনের আসামি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ডঃ হাসান মাহমুদ ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে যারা পিটিয়ে মানুষ হত্যা করেছে তাদের সবাইকে হত্যা মামলার আসামি করা হবে বলে তথ্যমন্ত্রী ডঃ হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন। ছেলেধরা গুজব প্রতিরোধে আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে হাছান মাহামুদ বলেন, “গত কয়েক দিনে ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে
অনেক নিরীহ মানুষকে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়েছে, এগুলো সবগুলোই হত্যাকাণ্ড। যারা এসব কাজ করেছে তারা সবাই হত্যা মামলার আসামি। সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিছু না জেনে না বুঝে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে নিরীহ মানুষদের হত্যা করছে এসব কুচক্রী মহল তিনি এ সময় আরও বলেন এ কাজগুলো কোন একটি মহল ষড়যন্ত্র করে করাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি “পদ্মা সেতুতে শিশু বলি দিতে হবে বলে যে গুজব ছড়ানো হয়েছে, সেটির ডালপালা ছড়িয়ে ছেলেধরা আতঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। ছেলেধরা
বলে অনেকের উপর হামলা করা হয়েছে এবং পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এভাবে কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না।”হাছান মাহামুদের ভাষ্য, “পদ্মাসেতুতে শিশু বলি দিতে হবে- এই গুজব তারাই ছড়িয়েছিল যারা পদ্মা সেতু চায় না, দেশের উন্নয়ন চায় না।”এ ধরনের গুজব যাতে কেউ ছড়াতে না পারে সেজন্য সরকার নানাবিধ ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গুজব ছড়ানোয় ইতোমধ্যে ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের অনেকেরই রাজনৈতিক পরিচয় জানা গেছে। এরা শুধুমাত্র স্বার্থ হাসিলের জন্য
গুজব ছড়িয়েছে তবে তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তার ৪৪ জনের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাননি তিনি।হাছান মাহমুদ বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, তথ্য অধিদপ্তর, বেতার, টেলিভিশনসহ সব জায়গায় প্রচারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।“এখন পর্যন্ত ছেলেধরা যে আতঙ্ক ছড়ানো হয়েছে এখনো পর্যন্ত একটি ঘটনাও সত্য প্রমাণিত হয়নি। এজন্য এ ধরনের কাজ যাতে কেউ না করে সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অনুরোধ জানাচ্ছি, যারাই এ ধরনের আতঙ্ক ছড়াবে তাদেরকে প্রতিহত করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।“আমরা দলীয়ভাবে
সবাই যাতে ঐক্যবদ্ধভাবে এ ধরনের আতঙ্ক যারা ছড়াচ্ছে বা আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। আপনাদের মাধ্যমেও দলের প্রচার সম্পাদক হিসাবে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের কাছে এই অনুরোধ জানাই।“পদ্মাসেতুতে শিশু বলি দেওয়া হবে যখন এই গুজব ছড়ানো হয় তখন থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যারা এই গুজব ছড়িয়েছে তারা একটি স্বার্থান্বেষী মহল। আজকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই কাজগুলো যারা করছেন এরসাথে কোনো স্বার্থান্বেষী মহল যুক্ত কি
না সেটিও কিন্তু ভাবার বিষয়।”সময় তথ্য মন্ত্রী ডঃ হাসান মাহমুদ দেশবাসীর কাছে এই গুজব প্রতিহত করতে সাহায্য কামনা করেন তিনি বলেন দেশের মানুষকে এসব গুজব প্রতিহত করতে হবে এবং সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ফোন দিতে হবে নইলে ত্রিপুল নাইনে ফোন করে আইনি সহায়তা পেতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি এক প্রশ্নে জভাবে হাছান মাহমুদ বলেন, গণফোরাম প্রেস ক্লাবে বসে সংবাদ সম্মেলন করেছে, বন্যার্ত মানুষের জন্য তাদের যে উদ্যোগ-আয়োজন তা ‘প্রেস ক্লাবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ’।
বিএনপিরও বন্যার্ত মানুষের জন্য উদ্যোগ-আয়োজন ‘প্রেস কনফারেন্সের মধ্যে সীমাবদ্ধ’।“গণফোরাম এবং বিএনপি ঢাকায় বসে প্রেস ক্লাব এবং তাদের দলীয় কার্যালয়ে বসে প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে তাদের সমস্ত কার্যক্রম সীমাবদ্ধ। তাদেরকে অনুরোধ জানাব, আমাদের দলের নেতাকর্মীরা যেভাবে বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, ঝাপিয়ে পড়েছে সেটাকে অনুকরণ করে অনুসরণ করে একই কাজ করে তারপরে কোনো প্রশ্ন থাকলে তা রাখুক।”নেতাদের নিয়ে টিম গঠন করে আওয়ামী লীগ বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে বলেও জানান দলটির প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
তিনি এ সময় আরও বলেন নবম ওয়েজবোর্ড চূড়ান্ত হবে বৃহস্পতিবার বৃহস্পতির মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে নবম ওয়েজবোর্ড চূড়ান্ত হবে বলে তথ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।এক প্রশ্নের জভাবে তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভা কমিটির সভা হবে, সে সভায় চূড়ান্ত হবে।”বৃহস্পতিবার ওয়েজবোর্ড চূড়ান্ত হলে কবে তা ঘোষণা করা হবে সেই প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “ঘোষণার কতগুলো সরকারি বিধিবিধান মানতে হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার পর সেটি মন্ত্রিসভায় পাঠাতে হবে।”সরকারের বিধি-বিধান মেনে ওয়েজবোর্ড ঘোষণা করা হবে।