
ছাতক প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের ছাতকের দৈনিক যুগান্তরের উপজেলা প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন রনিকে ট্রাফিক পুলিশের হয়রানিমূলক মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত তিনি সুনামগঞ্জের ছাতক প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক,দৈনিক যুগান্তর’র উপজে’লা প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন রনিকে ট্রাফিক পু’লিশের দায়েরকৃত মা’মলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে সুনামগঞ্জের যুগ্ম জে’লা জজ প্রথম আ’দালত। গত ২৫ জুলাই যুগ্ম জে’লা জজ প্রথম আ’দালত এর বিজ্ঞ বিচারক মোঃ ইব্রাহিম মিয়া দায়রা মা’মলা নং ৩৮২/২০১৯ এর ৩নং আদেশে সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন
রনিকে অব্যাহতি দেন। আ’দালতে আসামী পক্ষে এডভোকেট মোহাম্ম’দ কামাল হোসেন ওই মা’মলা’টি পরিচালনা করেন।জানা যায়,জেলার ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে ট্রাফিক পু’লিশের চাঁদাবাজী নিয়ে বিভিন্ন অনলাইন ওয়েবপোর্টাল ও একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় আনোয়ার হোসেন রনির প্রেরিত সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে পুলিশ প্রশাসন ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর গ্রামের বাড়ীতে গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। পরে সাজানো ঘটনা উল্লেখ্য ছাতক বাজার ট্রাফিক শাখার টিএসআই মোস্তফা কামাল(বিপি নং
৬৯৮৮০৪৩০৫২)বাদী হয়ে আটককৃত নিরীহ সংবাদকর্মী রনির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দ’ন্ডবিধি আইনের ৩৮৬/৫০৬ধারায় ছাতক থানায় মামলা নং ৭(জিআর ২৫০/২০১৮) তাং ৩/৯/২০১৮ইং দায়ের করেন।ট্রাফিক পুলিশের দায়েরকৃত মামলাটি তদন্ত করে গত ৩১ মার্চ ৭৪/২০১৯ নং অ’ভিযোগপত্র দাখিল করেন ছাতক থানা এসআই নিরস্ত্র অরুপ সাগর গুপ্ত কমল (বিপি নং ৮৪১৩১৫১৪৬৬)। তথাকথিত অ’ভিযোগপত্রে বাদীসহ মোট ১১জনকে সাক্ষী দেখানো হয়। এরমধ্যে ৫জনই পু’লিশ প্রশাসনের সাথে জ’ড়িত। বাকী’ বেসাম’রিক
৬জনের মধ্যে ৫জন সাক্ষী কথিত মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন সাজানো মা’মলা’টির বি’রুদ্ধে বিজ্ঞ আ’দালতে হলফনামা প্রদান করেন। এছাড়া আসামী পক্ষের কৌসুলীর জেরার ভয়ে কোন পু’লিশ সদস্যরাই আ’দালতে এসে একমাত্র আসামীর বি’রুদ্ধে সাক্ষ্য দেননি। একপর্যায়ে মা’মলা’টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মাত্র ৮মাস ২২দিনের ব্যবধানে ওই হয়রানীমূলক মা’মলা’টির দায় থেকে অব্যাহতি পান সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন রনি।উল্লেখ্য,ছাতক উপজে’লার আলমপুর নিবাসী ম’রহুম জহুর আলীর পুত্র আনোয়ার হোসেন রনি একজন সাহসী সিনিয়র
সাংবাদিক যিনি অনিয়ম দু’র্নীতির বি’রুদ্ধে লেখালেখি করতে গিয়ে হয়রানীমূলক মিথ্যা মা’মলায় হয়’রানির শিকার হন। এরপরও দু’র্নীতির বি’রুদ্ধে তার কলমসেবা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পু’লিশের একজন উর্ধতন কর্মক’র্তা বলেন,অ’ভিযোগপত্র দাখিলের পরও দায়েরকৃত মা’মলার অ’ভিযোগ প্রমাণ করতে না পারা বাদী পু’লিশের ব্যর্থতা ও মানহানিকর অ’প’রাধের পর্যায়ে পড়ে।এ ব্যাপারে বিজ্ঞ আদালতে পুলিশের বি’রুদ্ধে মানহানীর মামলা দায়ের অথবা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত
অ’ভিযোগ দাখিল করলে আনোয়ার হোসেন রনি হয়তো আইনগত প্রতিকার পেতে পারেন। সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি ও প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক আল-হেলাল বলেন,সংবাদে ক্ষুব্ধ ট্রাফিক পু’লিশ প্রকাশিত সংবাদটির বৈধ পন্থায় মোকাবেলা না করে জো’র-জুলুম ও বাড়াবড়ির আশ্রয় নিয়ে একজন নিরীহ সংবাদকর্মীকে অন্যায়ভাবে হয়রানী করেছেন। যারা এ জগন্য কাজটি করেছেন তারা আইনের আ’দালতে দোষী না হলেও বিবেক ও প্রকৃতির বিচারে কোননা কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন সুনামগঞ্জ জে’লা শাখার আহবায়ক সাংবাদিক আল-হেলাল মিথ্যা মা’মলায় মা’রাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন রনিকে সমবেদনা জানান। রোববার বিকেলে আনোয়ার হোসেন রনি সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি পিপি এডভোকেট শামছুন নাহার বেগম শাহানা রব্বানীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করে তার বি’রুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানীমূলক মা’মলার ইতিবৃত্ত তুলে ধরেন।
তিনি এ সময় বলেন সাংবাদিকদের লেখালেখি করতে দিচ্ছে না কিছু সংখ্যক ঘুষখোর পুলিশ তাদের মুখোশ খুলতে গিয়ে আমার আজ এ অবস্থা আমি চাই এই ধরনের পুলিশ অফিসারদের দুর্নীতি ঘুষ খুর মানুষের সামনে তুলে ধরতে ট্রাফিক পুলিশের অনিয়ম তুলে ধরতে গিয়ে আমি মামলা শিকার হয়েছি তিনি আরো বলেন আমি চাই না আর কোন পুলিশ অফিসার আর কোন সাংবাদিকের উপর অন্যায় অত্যাচার করে হয়রানিমূলক মামলা যাতে দিতে না পারে ক্লাবের পক্ষ থেকে এমন ব্যবস্থা নিতে হবে।