নিজস্ব প্রতিবেদক
মহিবুল্লাহ ২০১৭ সালে মায়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসার সময় পরনে জাইঙ্গাটা ছাড়া কিছুই ছিল না এখন সে ১১ লক্ষ রোহিঙ্গার নেতা! মহিবুল্লাহ ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে মাত্র দুই বছরে। বনে গেছে রোহিঙ্গাদের নেতা বিতর্কিত প্রিয়া সাহা সাথে গিয়েছিলেন হোয়াইট হাউসে পাসপোর্ট না থাকা সত্ত্বেও তিনি। কিভাবে ঘুরে আসলেন আমেরিকা থেকে রোহিঙ্গারা কোনক্রমে বাংলাদেশী নয় তবুও তারা থেমে নেই অবৈধভাবে। বাংলাদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে।তাদের বিদেশ যাত্রা অতএব বিদেশের মাটিতে বদনাম হচ্ছে বাংলাদেশের
রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থাকার সময় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রতিবাদ করতে না পারলেও আশ্রয়দাতা বাংলাদেশে এসে তারা করছে মহাসমাবেশ! ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশের বর্ডার খুলে দেওয়ার মাত্র দুই বছর পর এখন তারা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।!আশ্রয়দাতাদের জন্য নতুন পুরাতন মিলিয়ে কক্সবাজার – টেকনাফ – উখিয়ায় মোট ৩২ টি ক্যাম্পে ১১ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে এর সঙ্গে যোগ হয়েছে গত দুই বছরে জন্ম নেওয়া ৯১ হাজারেরও বেশি শিশু।সে হিসাবে গড়ে বাড়ছে প্রতিদিনই ১২৫ জন রোহিঙ্গা শিশু!
রোহিঙ্গাদের মধ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নেই বললেই চলে রোহিঙ্গাদের প্রতিটি পরিবারে রয়েছে ১০ থেকে ১৫ জন সদস্য এর প্রভাব পড়েছে পর্যটন জেলা কক্সবাজারেও
ফলে হুমকিতে পড়েছে কক্সবাজারের উন্নয়ন বাড়ছে দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তার ঝুঁকি।পুলিশের তথ্যমতে ১৭ ধরনের অপরাধে জড়িত রোহিঙ্গারা খুন ডাকাতি চুরি ধর্ষণ। ইয়াবা মানবপাচার নির্যাতন ফসলি জমি দখল করা রোহিঙ্গাদের কারো কারো হাতে উঠে এসেছে আগ্নেয়াস্ত্র তারা গড়ে তুলেছে ছোট ছোট সন্ত্রাসী বাহিনী দাবিয়ে বেড়াচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প আশপাশের এলাকাতে বিরোধে জড়িয়ে পড়ছে
মানবতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উকিয়া টেকনাফের স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর! গত দুই বছরে রোহিঙ্গাদের হাতে খুন হয়েছে ৪৩ জন ৪৭১ মামলায় আসামি হয়েছে ১ হাজার ৮৮ জন! ইয়াবাসহ মাদক চোরাচালানের জন্য ২০৮ জনকে আসামি করে ৩৬৮ জন রোহিঙ্গাকে এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে রোহিঙ্গাদের কারণে উখিয়া-টেকনাফে দারিদ্রতা বেড়েছে তিন শতাংশ! রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয় পর্যায়ে পণ্য সামগ্রীর দাম ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেছে! এতে বিপাকে পড়েছে স্থানীয় জমি সরাসরি মালিকানা জমিসহ ব্যক্তি মালিকানা জমি নষ্ট করছে রোহিঙ্গারা! স্থানীয় লোকজনের কাজের সুবিধা
অনেকটাই কমে গেছে মাত্র দুই বছরে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা অস্ত্রসহ অবৈধ পণ্যের ব্যবসা অনেক রোহিঙ্গা বনেগেছে কোটি টাকার মালিক! একটি জাতীয় পত্রিকার অনুসন্ধানী রিপোর্টে দেখা গিয়েছে এক ডজনের উপরে কোটিপতি রয়েছে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে! নানা কৌশলে স্থানীয় লোকজনের ব্যবসা বাণিজ্য হাতিয়ে নিচ্ছে রোহিঙ্গারা এমনকি বাংলাদেশের মাটিতে গড়া তাদের ৩২টি ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের দোকানগুলোতে শোভা পায়না বাংলাদেশের উৎপাদিত কোন পণ্য সবই আসে রোহিঙ্গাদের দেশ মিয়ানমার থেকে স্থানীয়দের জন্য ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য লাইসেন্স ভ্যাট ট্যাক্স এর
প্রয়োজন হলেও। রোহিঙ্গারা সেগুলো প্রয়োজন মনে করে না ফলে মার খাচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এছাড়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ব্যবস্থা করতে গিয়ে একসময়ের সবুজ পাহাড় হয়ে উঠেছে বৃক্ষশূন্য!ধ্বংস করা হয়েছে পরিবেশ বনভূমি জীবন বৈচিত্র প্রতিমাসে রোহিঙ্গাদের রান্নায় ব্যবহার হয় ৭ হাজার টন জ্বালানি কাঠ! এর পুরোটাই আসে সরকারি বনভূমি উজাড় করে! বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে
রোহিঙ্গারা উখিয়া-টেকনাফে সাড়ে ৬ হাজার একর বনভূমিতে বসতি স্থাপন করেছে রোহিঙ্গারা বনভূমিকে রোহিঙ্গাদের এভাবে বসতি স্থাপনের কারণে বনবিভাগের ক্ষতি দুই হাজার কোটি টাকা! মানবতার কারণে আশ্রয় দেয়া রোহিঙ্গাদের কারণে হুমকি হয়ে উঠেছে। কক্সবাজার টেকনাফ উখিয়া সহ স্থানীয় জনজীবন যতদ্রুত সম্ভব তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো এখন সময়ের দাবি
মাত্র।