
জসিম উদ্দিন,বেনাপোল।
যশোরের বেনাপোলে মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রটি ৪ বছর আগে নির্মিত হলেও কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় স্বাস্থ্য সেবা থেকে বি ত হচ্ছে বেনাপোল পোর্ট থানার তিনটি ইউনিয়নের প্রায় দুই লক্ষ পাশ হাজার সাধারণ জনগন। ৮ কোটি টাকা ব্যায়ে বেনাপোলের তালশারিতে নির্মিত ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি ৮ বছর পড়ে আছে।সেখানে চিকিৎসার কোন কার্যক্রম শুরু হয়নি। কর্মকর্তারা বলছে দুই দপ্তরের টানা পোড়েনের কারণে এর কার্যক্রম শুরু হতে বিলম্ব হচ্ছে।হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালে নির্মাণ কাজ শেষে সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। বিগত চার বছর অতিবাহিত হলেও সেখানে কোন চিকিৎসা ব্যবস্থার কার্যক্রম চলছে না। ফলে বন্দর নগরী বেনাপোল সহ পুটখালী ও বাহদুরপুর ইউনিয়নের প্রায় দুই লক্ষ পাশ হাজার মানুষসহ এলাকার প্রত্যান্ত অ লের সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বি ত হচ্ছে। বেনাপোল বন্দরে চাকরি ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক কাজ করে বন্দরে। জরুরি কোন দুর্ঘটনায় কোন শ্রমিক আহত হলে বা কোন প্রসুতির জরুরি ডেলিভারীর প্রয়োজন হলে তাকে বেনাপোল থেকে ১২ কিলোমিটার
দুরে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। দেশের সর্ববৃহৎ স্থল বন্দর বেনাপোল। সেখানে সু-চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা না থাকায় অনেকে নাভারন অথবা যশোর যেতে যেতে পথে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।বেনাপোল পৌর সভায় ১ লাখ ৩০ হাজার এবং এ থানার আওতায় আরো তিনটি ইউনিয়ন নিয়ে প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষের বসবাসের জন্য গড়ে উঠেনি সরকারি ভাবে কোন চিকিৎসালয়। বেসরকারি ভাবে যে সব চিকিৎসা কেন্দ্রগুলো আছে তাতে নেই কোন মান সম্মত ডাক্তার। সপ্তাহে ৭ দিনে তিন দিন সেখানে রুগী দেখতে ডাক্তার আসে দুর দুরান্ত থেকে। সীমান্ত ঘেষা এ
শহরের মানুষ নানা সুযোগ সুবিধা থেকে বি ত। সরকারের রাজস্ব আদায়ের প্রাণ কেন্দ্র বেনাপোল বন্দর। সেখানকার চিকিৎসা সেবার অবস্থা এত নাজুক তা দেখে ও না দেখার ভান করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের অফিস সহকারী রুস্তম আলী জানান, এ হাসপাতালটি চালু হলে এ জনপদের মানুষ উপকৃত হবে। এব্যপারে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ অশোক কুমার বলেন, মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রটি পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের নিন্ত্রয়ণাধীন সে জন্য এর কার্যক্রম চালু হওয়ার বিষয়টি তারাই ভাল বলতে পারবে।উপজেলা পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, বেনাপোল মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রটি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের নিকট হস্তান্তর না করায় কার্যক্রম শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে।