
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ এলাকার জাম্বুরি মাঠের অপজিটে আমেরিকান হাসপাতালটি এই হাসপাতালে প্রতিদিন শত শত চর্ম রোগের চিকিৎসা নিতে রোগীরা আসেন, তবে অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে এ সময়ে মাত্র পাঁচ টাকা দিয়ে চর্ম রোগের চিকিৎসা পাওয়া যায়, যেখানে বড় বড় হাসপাতালগুলোতে শুধু মাত্র ট্রাস্টের জন্য খরচ করতে হয় হাজার হাজার টাকা, সেখানে এ হাসপাতালের শুধুমাত্র ৫ টাকার বিনিময় ভালো হচ্ছে চর্ম রোগের রোগীরা, হাসপাতালটির নাম আগে ছিল আমেরিকান হাসপাতাল তবে এখন সেটা পুরোপুরি বাংলাদেশের অর্থায়নে পরিচালিত হওয়ায় সেটির নাম হয়েছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কেন্দ্রীয় চর্ম ও সামাজিক স্বাস্হ্য কেন্দ্র (আমেরিকান হাসপাতাল) চট্টগ্রাম এক সময় আমেরিকান হাসপাতাল হিসাবে প্ররিচিত থাকলেও এখন আর সেটা নেই কারণ এক সময় এই হাসপাতাল চলতো আমেরিকার অর্থায়নে তখন টিকেটের দাম ৫ টাকা হলেও ওষুধ দিত সম্পূর্ণ ফ্রিতে এখন আর সেটা আমেরিকান হাসপাতালে দেখা যায়না এখন বাংলাদেশে অর্থায়নে এ হাসপাতাল পরিচালিত হলেও ডাক্তার প্রেসক্রিপশন লিখে, দেয় অতএব রোগীদেরকে বাইরে থেকে ওষুধ ক্রয় করে খেতে হয় কিন্তু একসময় যখন এ হাসপাতাল আমেরিকার অর্থায়নে ছিল তখন টিকিটের
মূল্য ৫ টাকা হলেও রোগীরা পেত সম্পূর্ণ ফ্রিতে ওষুধ, এই হাসপাতালের একটা বিশেষত্ব আছে চর্ম রোগের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী এই হাসপাতাল, চর্ম রোগের পাশাপাশি কুষ্ঠ রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয় এ হাসপাতাল শুধু তাই নয়, যক্ষার মতো কঠিন রোগেরও চিকিৎসা দেওয়া হয় এ হাসপাতালে, তবে চট্টগ্রামের আশেপাশের এলাকা থেকে ভোর পাঁচটা থেকে চর্ম রোগের চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা সিরিয়ালের জন্য অপেক্ষা করে ৮:৩০ পর্যন্ত, ৮:৪৫ মিনিটের পর থেকে টিকেটের কার্যক্রম শুরু হয়, ৯:৩০ মিনিটের পর থেকে ডাক্তার রোগী দেখা শুরু করে,
এই হাসপাতালে চর্মরোগ যক্ষা রোগ ও কুষ্ঠ রোগ সহ বিভিন্ন রোগের জন্য ১২ জন ডাক্তার বসেন এই হাসপাতালে। এই হাসপাতালের ডাক্তাররা প্রতিনিয়ত ও নিরলসভাবে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন, তবে কিছু কিছু রোগীদের বক্তব্য অনুযায়ী সরকারের আরও বেশি নজর দেওয়া উচিত এ হাসপাতালে থেকে আব্দুল হান্নান নামে জন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী বলেন মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সুনির্দিষ্ট এই হাসপাতালের প্রতি দৃষ্টি, আকর্ষণের জন্য আকুল আবেদন করছি। তিনি আরো বলেন হাসপাতালটি উন্নত মানের করা হলে আরো বেশি মানুষ সেবা নিতে পারবেন।
আমেরিকা হাসপাতাল কত সালে নির্মিত হয়েছিল? আমেরিকা, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রবাসী লোকজনদের অনেকে চর্মরোগে আক্রানত্ম হয়ে দেশে আসলে চিকিৎসা নিতে ছুটে যান নগরীর আগ্রাবাদ এলাকার ‘আমেরিকান হাসপাতালে’। ঢাকা থেকে শুরম্ন করে দেশের বিভিন্ন এলাকার রোগীরাও ছুটে আসেন চর্মরোগের চিকিৎসার জন্য খ্যাত এ হাসপাতালে। কিন্ত রোগীরা যখন গেইট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে তখন জীর্ণশীর্ণ হাসপাতালের চেহারা দেখে বিস্মিত হয়। এরপর হাসপাতালে ঢুকে যখন টিকেট কাটে তখন তাদের চোখ যেন কপালে উঠে! আমেরিকান হাসপাতালের টিকেটের মূল্য যে
পাঁচ টাকা! আমেরিকান হাসপাতাল নামে পরিচিত হলেও এটির মূল নাম ‘কেন্দ্রীয় চর্ম ও সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র’। ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এটি। সরকারি এ হাসপাতালে আউটডোরে কেবল চর্ম ও যৌন রোগের সেবা দেওয়া হয়। জানা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রানত্ম থেকে রাতে চট্টগ্রাম শহরে এসে পরদিন ভোরে হাসপাতালের গেইটে গিয়ে লাইনে দাঁড়ান রোগীরা। জানা যায়, পাকিস্তান আমলে এ হাসপাতাল নির্মিত হয় ১৯৫২ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংসা দড়্গিণ-পূর্ব এশিয়ায় চর্ম ও যৌন রোগ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে ৪টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে। তারই একটি হলো আমেরিকান হাসপাতাল। দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর
বিবেচনায় নিয়ে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় আড়াই একর জায়গাজুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয় একতলা ভবনের এ হাসপাতাল। প্রথম দিকে কেবল বিদেশি জাহাজের ক্যাপ্টেন ও নাবিকদের চর্ম ও যৌন রোগের চিকিৎসার ব্যবসা ছিল এখানে। পরে সর্বসাধারণের জন্য হাসপাতালটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। তখন আমেরিকা, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এখানে স্বাস্থ্য সেবা দিতেন। তবে এটি পরিচিতি পায় আমেরিকান হাসপাতাল নামে। এখনই হাস্পাতালে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চর্ম রোগের চিকিৎসা নিতে আসছেন।