
স্ব-স্ব দেশের জাতীয় ইতিহাস আর মাতৃভাষার স্থায়িত্বশীল সংরক্ষণই আমাদের অত্যাবশ্যক নাগরিক দায়িত্ব এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ইতিহাস মে র বার্ষিক সম্মেলন ১২ অক্টোবর শনিবার সকালে ঢাকাস্থ বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের অডিটরিয়ামে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ইতিহাসবিদ সোহেল মুহাম্মদ ফখরুদ-দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের উদ্ভোধন করেন, মে র কেন্দ্রীয় প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্তন সচিব, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও কৃষি প্রযুক্তিবিদ সিরাজুল করিম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
ভারতের আগরতলার বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ, ইন্দ্রিরা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. আশীষ কুমার বৈদ্য। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা এস.এম.ফরিদুল হক মুকুল, সংগঠনের মহাসচিব ডাঃ এম.এ.মুক্তাদীর, রিয়াদ মুহাম্মদ খান, ড. মমতাজ উদ্দিন, বিজলী চৌধুরী, মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, সাহিদা বেগম মুক্তা, কবি সাগর বড়–য়া, নয়ন বড়–য়া, ইমাম উদ্দিন, মোহাম্মদ রাসেল, উদয়ন বড়–য়া, ছড়াকার নজরুল ইসলাম প্রমূখ। সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আশিষ কুমার বৈদ্য বলেছেন, সাহিত্য
মানব ইতিহাসের মহাসড়ক। এ মহাসড়ক ধরেই পৃথিবীর এক প্রান্তের মানুষের সঙ্গে অন্য প্রান্তের মানুষের যোগাযোগ ঘটে। সাহিত্য অনেক অসাধ্য সাধন করতে পারে। প্রকৃত জীবনমুখী সাহিত্যই পারে মানুষকে হিংসতা ও হানাহানির অন্ধকার থেকে আলোর পথে ফিরিয়ে আনতে। ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সাহিত্য-সংস্কৃতি-ভাষা বিবেচনায় সার্কভুক্ত দেশগুলো একই সূত্রে গাঁথা। ভৌগোলিক সীমারেখা আমাদের ভূখণ্ডগুলোকে আলাদা করলেও এ অ লের মানুষ মনন ও মানসিকতায় প্রায় একই রকমের। ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার অর্জনের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ভাষা ও
সাহিত্যকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছিলেন। এইটা অনন্য নজির। সম্মেলনে সার্কভুক্ত দেশগুলোর সামাজিক ইতিহাস বিশ্বদরবারে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে সম্মেলন সমাপ্তি হয়। সম্মেলনে বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ইতিহাস মে র নতুন কার্যকরী কমিটি ইতিহাসবিদ সোহেল মুহাম্মদ ফখরুদ-দীনকে সভাপতি ও ভাষা গবেষক ডাঃ এম.এ মুক্তাদীর কে মহাসচিব করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।