
চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের উদ্যোগে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য, প্রবীণ রাজনীতিবিদ অধ্যাপক পুলিন দে’র ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকীর এক আলোচনা সভা সংগঠনের সভাপতি বাবুল কান্তি দাশের সভাপতিত্বে গত ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টায় নগরীর কদম মোবারক এম.ওয়াই উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আওয়ামীলীগনেতা চৌধুরী মাহবুবুর রহমান। প্রধান আলোচক ছিলেন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবালের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা এম.এ.সালাম,আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এম.এ.মুনায়েম, কবি আশীষ সেন, চকবাজার থানা আওয়ামীলীগের সহ
সভাপতি অমর দত্ত, প্রকৌশলী কবি স য় কুমার দাশ,ডাঃ রতন চক্রবর্তী, কবি সজল দাশ, আবৃত্তিশিল্পী সোমা মুৎসুদ্দী, এম, নুরুল হুদা চৌধুরী, নাছির হোসেন জীবন, সঙ্গীতশিল্পী নারায়ন দাশ, হানিফ চৌধুরী, রতন ঘোষ, কামরুল হাসান সজীব। সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, উচ্চ মেধা ও মননের অধিকারীরা সমাজে সংঘবদ্ধ মানুষদের মধ্যে শীর্ষস্থান ও পদগুলো লাভ করে। সামাজিক-অর্থনৈতিক পরিবর্তন, যেহেতু মানুষের উৎপাদন সম্পর্ক অথবা প্রধান প্রধান দল ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পর্কের পরিবর্তনকে বোঝায়, সে কারনে এর পরিবর্তনে উদ্যোক্তা হিসেবে
ব্যক্তির ভূমিকা অবশ্যম্ভাবী। আবার ঐসব ব্যক্তি ইতিহাসের অংশ হলেও কালের বিবর্তনে বিস্মৃত অধ্যায়ে যুক্ত হয়। তেমনি একজন অধ্যাপক পুলিন দে। ব্রিটিশদের তাড়িয়েছেন বাংলাদেশ নির্মানে সহায়ক শক্তিরূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন। ছিলেন আমৃত্যু আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। চিরকুমার পুলিন দে’কে রাজনীতির অধোগতি বেশ ভাবিয়ে তুলেছিল। তিনি প্রায়ই বলতেন আমরা রাজনীতি করেছি পকেটের পয়সা দিয়ে। স্বাধীনতার জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন পুলিন দে। জীবনের মোহ তাঁকে পায়নি কখনো। প্রধান আলোচক তার বক্তব্যে বলেন অর্থ, বিত্ত, বৈভব উত্তরাধিকার কোনটি পুলিন দে’র ছিল না। এরপরেও পুলিন দে স্ব-মহিমায় ভাস্বর।