চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্র ও ভারতের আগরতলার সপ্তপর্ণার যৌথ উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী কর্মসুচীর অংশ হিসেবে দু’দিন ব্যাপী দু’দিনব্যাপী আয়োজনের সমাপনী দিনে আগরতলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে বঙ্গবন্ধু মেধাবৃত্তি প্রদান, বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতা ও সপ্তপর্ণার বিশেষ সংখ্যার প্রকাশনা অনুষ্ঠান গত ২৬ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টায় আগরতলা সুকান্ত একাডেমীতে ত্রিপুরার প্রাক্তনমন্ত্রী বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ড.বজ্রগোপল রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা শাহজাদা মহিউদ্দীন। উক্ত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আগরতলার বিশিষ্ট কবি ও প্রাবন্ধিক শ্রী মিহির কান্তি দেব। অনুষ্ঠানে স্বাগত
বক্তব্য রাখেন সপ্তপর্ণার সম্পাদক কবি ও সাহিত্যিক নিয়তি রায় বর্মন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আগরতলার বিশিষ্ট সমাজেবী শ্রীমতি পা ালী ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট সাংবাদিক সমীর ধর, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি লায়ন মোঃ জাফর উল্লাহ, আগরতলার জনপ্রিয় রম্যসাহিত্যিক এড. রাখাল মজুমদার, সমাজসেবী অজিত কুমার শীল চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবাল, মুক্তিযোদ্ধা এস.এম.লিয়াকত হোসেন, ফাতেমা জাফর। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন সাহিত্যিক ড.বিথীকা রায় চৌধুরী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বাচিক শিল্পী ড.মুজাহিদ রহমান এবং সুস্মিতা ধর। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন আগরতলার ড. বি.আর.
অ্যাম্বেদকর স্মৃতি ছাত্রী নিবাস ও চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের শিল্পীবৃন্দ অনুষ্ঠানে সপ্তপর্ণার বিশেষ সংখ্যা ও সাহিত্যিক নিয়তি রায় বর্মণের গদ্যগ্রন্থ সময়ের দর্পণের প্রকাশনার উম্মোচন করা হয়।
সভার প্রারম্ভে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশ্ববীণা ত্রিপুরার মানি অনুরুপা মুখার্জীর রচনা পাঠ করেন মৌসুমী কর, বিশিষ্ট কবি করবী দেববর্মণের কবিতা পাঠ করেন শ্রীমতি সুমিতা দেববর্মণ সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিউলী বেগম, নৃত্য পরিবেশন শ্রীমতি শ্রেয়া ভট্টাচার্য, দলীয় নৃত্য করেন ড.বি.আর আম্বেদকর স্মৃতি ছাত্রী নিবাসের ছাত্রীবৃন্দ ও নৃত্যনিড়ের নৃত্যশিল্পীরা। আবৃত্তি মনীষা পাল চৌধুরী। সভায় প্রধান অতিথি বলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর বাঙালীর কালজয়ী নেতা হিসেবে সমগ্র বাঙালীর হৃদয়ে চিরদিন বেঁচে থাকবে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করলেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের জাতির জনক হিসেবে বাঙালীর প্রিয়নেতা নয় বঙ্গবন্ধু সারা বিশ্বের মহান নেতা হিসেবে শোষিত ও বি ত মানুষের চির প্রেরণার কন্ঠস্বর হয়ে থাকবে। বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেমের আদর্শ সকল প্রজন্মের কাছে সমানভাবে অনুকরণযোগ্য। সভার উদ্বোধক বলেন বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের মহান স্থপতি হিসেবে নয় একজন অবিসংবাদীত নেতা, বাঙালীর বরেণ্য নেতা হিসেবে আমরা ত্রিপুরাবাসী ও সমানভাবে সম্মান করি। বঙ্গবন্ধু যে মহান নেতা তা
তাঁর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের বছর ব্যাপী নানাকর্মী সারা পৃথিবীতে যেভাবে পালিত হচ্ছে তাতেই বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা প্রমাণিত। তিনি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক গুণাবলী আর দেশপ্রেম আর আত্মত্যাগ থেকে বর্তমান প্রজন্মকে শিক্ষা নেওয়ার আহবান জানান। তিনি বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু জন্ম শত বার্ষিকী হতে ত্রিপুরার ১০০ জন শিক্ষার্থীকে বঙ্গবন্ধু মেধা বৃত্তি প্রদান করায় চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠান শেষে সঙ্গীত পরিবেশন করেন আগরতলার বিশিষ্ট শিল্পী শ্রীমতি স্বপ্না ভট্টাচার্য্য। শ্রী সুব্রত দেব নাথ, মাউথ অর্গান পরিবেশন করেন শ্রী স্বপন মজুমদার, দলীয় সংগীত ও পাহাড়ী নৃত্য পরিবেশন করেন অনুরূপা একাডেমির ছাত্রীরা।