নিউজ ডেস্ক:
দেশের মানুষকে শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে যাচ্ছে সরকার। ২০২০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শতবর্ষের উদযাপন উপলক্ষে। ও মুজিব বর্ষ দিবস হিসেবে পালন করতে যাচ্ছে সরকার সেইসাথে দেশের মানুষকে শতভাগ বিদ্যুৎ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন। আমরা একটা লক্ষ্য স্থির করেছি, ২০২০ সালে জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী আমরা উদযাপন। শুরু করবো ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে। ২০২১ সালে ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি আমরা উদযাপন
করবো। ২০২০ এর মার্চ থেকে ২০২১ এর মার্চ পর্যন্ত আমরা মুজিববর্ষ ঘোষণা দিয়েছি। ইনশাআল্লাহ এর মধ্যে আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হবো বলে আশা করি। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ২৩টি বিশেষায়িত বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রায় ৯৪ ভাগ মানুষের ঘরে বিদুৎ পৌঁছাতে পেরেছি। কেউ অন্ধকারে থাকবে না, সব ঘরেই আলো জ্বলবে। সেই লক্ষে বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি আমরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে যাচ্ছি। বিতরণ ও সঞ্চালনেরও ব্যবস্থা আমরা করছি। উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ এটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এ বিষয়ে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।এ সময় তিনি আরও বলেন, কোনো ঘর যাতে অন্ধকারে না থাকে, সে ব্যবস্থা আমরা করবো ইনশাল্লাহ। সব ঘরে আলো কীভাবে জ্বালাবো? সব জায়গায় আমাদের গ্রিড লাইন নেই। তবে যেখানে গ্রিড লাইন নেই বা দুর্গম এলাকা, সেখানে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ করছি। বায়োগ্যাস
প্লান্ট বা সোলার প্যানেল বিভিন্ন উপায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়ে সেই ঘরগুলো যাতে অন্ধকারে না থাকে, সে ব্যবস্থা আমরা করবো। সেই লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।তিনি বলেন, আমরা যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করি। বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে যে অর্থ খরচ হয়, তার থেকে কম অর্থে আমরা সরবরাহ করে যাচ্ছি। ভর্তুকিও আমাকে দিতে হচ্ছে। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো, এই বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাই সাশ্রয়ী হবেন। বিদ্যুৎ অপচয় যেন না হয়।বিদ্যুৎ দেশের সম্পদ সে কথা মাথায় রেখে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে হবে
দেশের সম্পদ কিছুতেই নষ্ট করা যাবে না।তিনি জানান, ২০০৫-০৬ এ যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, তখন দারিদ্র্যের হার ছিল ৪১ ভাগ। আজকে আমরা তা কমিয়ে ২১ ভাগে নামিয়ে আনতে পেরেছি। আমরা আমাদের সমস্ত পরিকল্পনা একেবারে গ্রাম পর্যায়ে অর্থাৎ তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ যাতে এর সুফল ভোগ করতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। অর্থাৎ উন্নয়নটা শুধু শহরে বসবাস করা বা রাজধানীতে বসবাস করা কিছু মানুষেরই উন্নয়ন না, উন্নয়নটা হচ্ছে একেবারে গ্রাম পর্যায়, তৃণমূল পর্যায়ে যে মানুষ তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করা,
আর্থসামাজিক উন্নতি করা, তাদের জীবনমান উন্নতি করা, কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করা এবং তাদের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা থেকে শুরু করে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পূরণ করা। অর্থাৎ মৌলিক চাহিদা পূরণ করা। সবথেকে অগ্রাধিকার দিয়েছি, আমরা খদ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আজকে ইনশাআল্লাহ আমরা খাদ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছি। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০২০।২১ মুজিব বর্ষ যাতে সুন্দরভাবে, পালন করতে পারে সে কথা মাথায় রেখে সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে।