ছাতক (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা
‘অন্যের জন্য গর্ত খুঁড়লে সেই গর্তে যে নিজেকেই পরতে হয়’ তা প্রমাণিত হয়েছে ছাতকে। অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই তদন্তকারি কর্মকতার কাছে ধরা পড়লেন উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সৈয়দের গাও ইউনিয়নের দশঘর রাজ্জাকিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোশাহিদ আলী। তার বিরুদ্ধে মাদ্রাসার অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগের অনিয়ম দূর্নীতি ও ঘুষ কেলেংকারির অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে দায়ের করায় এ ঘটনায় উপজেলাজুড়েই ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এঘটনার অনুলিপি দিয়েছেন মহা-পরিচালক মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা.উপ- পরিচালক, দূর্নীতি দমন কমিশন সুনামগঞ্জ. সহকারী কমিশনার (ভূমি) উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবরে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-
সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের বিলপার গ্রামে মৃত তোফাজ্জল আলীর পুত্র তাজুল ইসলাম তারেক মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোশাহিদ আলীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়েরের এ ঘটনায় সমালোচনার ঝড় বইছে।জানা গেছে.মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের মাধ্যমে তার আত্মীয় কে সুপার ঘুষ নিয়ে সহকারি পদে নিয়োগ দেয়ার ব্যবস্থা করে। এ বিষয়টি মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা জানতে পেরে নিয়োগ বাতিলের জন্য সভাপতির কাছে আবেদন জানায়। সভাপতি এ পদে নিয়োগ পরীক্ষার অনিয়ম হওয়ার কারনে সুপারিশ করা হয়নি। মাদ্রাসার অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ করতে সুপার মাওলানা মোশাহিদ আলী গোপনে ১০লাখ টাকার চুক্তির মাধ্যমেই উপজেলার ভাতগাও ইউনিয়নের সুলেমানপুর গ্রামে আখলুছ আলীর পুত্র ইমাদ
আলীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ্য করেছেন। মাদ্রাসার অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে গত ১৮মার্চ ২০১৯ সালে ২৩ জন প্রার্থী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করলে এদের মধ্যে ১ম স্থান লাভ করেন তাজুল ইসলাম তারেক। এ পদে তাকে বাদ দিয়ে ৩য় প্রাপ্ত প্রাথী উপজেলার ভাতগাও ইউনিয়নের সুলেমানপুর গ্রামে আখলুছ আলীর পুত্র ইমাদ উদ্দিন কে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোশাহিদ আলী নিয়োগ দিতে অপতৎপরতা চালিয়ে প্রচার প্রচারনা করে ম্যানিজিং পরিষদ কাছে তার অনিয়মের ঘটনায় ধরা পড়ে। এ অনিয়মের কারনে এ পদে নিয়োগ স্থগিত করে পুনঃ নিয়োগে সিদ্ধান্ত জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় বিঞ্জপ্তি প্রকাশ করেন ২১ জুন ২০১র্৯ ।ইমাদ উদ্দিন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে মাদ্রাসা
শিক্ষা অধিদপ্তর তার অভিযোগটি ছাতক উপজেলা নিবার্হী কমকতাকে সরেজমিন তদন্তত্রুমে সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন প্রেরনের অনুরোধ করেন। উপজেলার নিবার্হী কর্মকতা আবেদা আফসারি মাদ্রাসার অফিস সহকারি কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে একখানা অভিযোগ পত্র পাওয়া যায়। প্রাপ্ত অভিযোগের বিষয়ে নি¤œস্বাক্ষরকারির কার্যালয়ে শুনানী গ্রহন করা হয়। শুনানীর পরবর্তী পর্যায়ে সাবিক দিক বিবেচনাত্রুমে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি নিয়োগ কার্যত্রুম স্থগিত করেন এবং পুনঃরায় নিয়োগ বিঞ্জপ্তি প্রচার করেন।এছাড়া এ নিয়োগ কাযত্রুম মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির এখতিয়ারভুক্ত বলে তিনি মন্তব্য করেন। আবারো মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে ইমাদ উদ্দিন লিখিত অভিযোগ দায়ের করান সুপার। এ স্মারক নং-
৫৭-২৫.০০০০.০১০.০৩.০০৩.১৬.৩১৭৩ অক্টোবর১৯ইং মুলে পুনরায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে প্রেরণ করা হলে ও তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাপসশীলকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।এ বিষয়টি সরেজমিন মাদ্রাসা গিয়ে তদন্ত কাজ শুরু করেন পক্ষে বিপক্ষের বক্তব্য শুনেন এবং উভয় মধ্যে লিখিত ভাবে বক্তব্য দেয়ার অনুরোধ করলেই ম্যানেজিং কমিটির সবার সমানে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোশাহিদ আলী ইমাদ উদ্দিনের অভিযোগটি অস্বীকার করে লিখিত বক্তব্য দেয়ার পর পর্দার আড়ালে রহস্য বের হয়ে আসে জনসম্মুখে।ইমাদ উদ্দিন তদন্তকারি কর্মকতার
কাছে সুপারের নির্দেশে মাদ্রাসার নামে এসব অভিযোগ করেছি বলে সুপারের ভয়েসরেকর্ড জমা দেন। অবশেষে সুপার মাওলানা মোশাহিদ আলী অন্যকে ফাসাতে গিয়ে নিজেই ঘুষ কেলেংকারি এ ঘটনায় ফেসে গেছেন। সুপার মোশাহিদ আলী তার নিজেই দুনীতি অনিয়মের এ ঘটনায় দায়-স্বীকার করে ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশন করেন ম্যানেজিং কমিটি।এব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কমর আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুনীতি ও অফিস সহকারি পদে নিয়োগ নিয়ে ঘুষ কেলেংকারি ঘটনাটি সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন
তিনি ইমাদ উদ্দিন কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটিতে তার বিরুদ্ধে আইনানুগত ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত রেজুলেশনে করা হয়।
এব্যাপারে সুপার মাওলানা মোশাহিদ আলীর তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন ইমাদ উদ্দিনে সঙ্গে মোবাইল ফোনে তার যোগাযোগ হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভুমি)তাপসশীল জানান.মাদ্রাসায় নিয়োগ নিয়ে ঘুষ কেলেংকারি একটি অভিযোগ তদন্ত চলছে । তবে তদন্তের স্বাথে কিচু বলা যাবে না ।