বিশ্বঅলী শাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভা-ারী (ক.) ছিলেন, আধ্যাত্মিক সাধনার মহান বাতিঘর। তিনি একাধারে জ্ঞান সাধক, তরিকতের অকৃত্রিম সেবক, হযরত গাউসুল আযম মাইজভা-ারীর প্রপৌত্র তথা মাইজভা-ার দরবার শরীফের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। আপন কর্মসাধনায় তিনি নিজেকে করেছেন মর্যাদার সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত। ১৫ ডিসেম্বর বিকেলে নগরীর রীমা কনভেনশন সেন্টারে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (দ.) ও বিশ্বঅলি শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভা-ারীর (ক.) ৯১তম খোশরোজ উপলক্ষে আলোচনা ও মিলাদ মাহফিলে বক্তারা
উপরোক্ত মন্তব্য করেন। মাইজভা-ারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর আয়োজিত মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন ডি.আই.জি চট্টগ্রাম রেঞ্জ খন্দকার গোলাম ফারুক। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাইজভা-ারী গাউসিয়া হক কমিটি চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক পরিচালক আলহাজ্ব গোলাম রসুল। মহানগর সভাপতি এম মাকসুদুর রহমান হাসনুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশরাফের সঞ্চালনায় মিলাদ মাহফিল ও খোশরোজ শরীফের সেমিনারে আলোচক ছিলেন প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি চবি ইসলামের ইতিহাসের প্রধান প্রফেসর ড.এস.এম. বোরহান
উদ্দীন, ফজুল বারী ডিগ্রি মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ আল্লামা ড. খলিলুর রহমান, দরবারে বারীয়া শরীফের নায়েবে সাজ্জাদানশীন আল্লামা শাহজাদা সৈয়দ আবুল মোকাররম মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম বারী মাওলানা মুজিবুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা আরো বলেন, বাংলার জমিনে প্রবর্তিত একমাত্র তরিকায়ে মাইজভা-ারীর প্রবর্তক হযরত গাউসুল আযম মাইজভা-ারীর (ক.) যোগ্য উত্তরসুরী বিশ্বঅলীর দর্শন আমাদের পথচলার নির্দেশনা হয়ে থাকবে অনাধীকাল। মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান, লায়ন দিদারুল আলম চৌধুরী, ফজুল হক, ওসি, এস.এম. সাহাবউদ্দীন,
নুরুল করিম নুরু, নাজিম উদ্দিন, মেজবাহ উদ্দীন, আশরাফ উদ্দীন সিদ্দিকী, মোঃ নাছির উদ্দিন, ওমর ফারুক, শামসুল ইসলাম, সফিকুল ইসলাম, মোঃ খোরশেদ, বদিউর রহমান, কামাল উদ্দিন, ওসি তদন্ত মইন উদ্দনি ইমন প্রমুখ। মিলাদ কিয়াম ও মুনাজাত পরিচালনায় করেন মাওলানা মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম। শেষে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে মাইজভা-ারী মরমী গোষ্ঠী শিল্পীদের পরিবেশনায় মাইজভা-ারী কালাম পরিবেশিত হয়।