
নিউজ ডেস্কঃ
চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জের বিএসআরএম কারখানাতে কাজ করার সময় লোহার গলিত সিসায় দগ্ধ হয়ে মোহাম্মদ কাশেম (৫২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ৪ জন দগ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ শনিবার (৬ জুন) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।আহতদের হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
নিহত মোহাম্মদ কাশেমের বাড়ি মিরসরাইয়ের নিজামপুরে। তার ২ ছেলে ১ মেয়ে। নিহত কাশেমের আত্মীয় বজলুর রহিম জানান, কারখানায় বিস্ফোরণ হয়ে মো. কাশেমের মৃত্যু হয়েছে। তবে কি কারণে এই বিস্ফোরণ হয়েছে তা আমরা জানতে পারিনি বিএসআরএম কর্তৃপক্ষ।চমেক হাসপাতালে দগ্ধ হয়ে ভর্তি হওয়া বাকী ৪ জন হলেন, গিয়াস উদ্দিন (২৪),নুর হোসেন (৩০), মহিউদ্দিন (২৮) এবং নজরুল ইসলাম (২৪)।
চমেকের বার্ন ইউনিটের ডা. মিথুন পালিত জানান, ‘ অগ্নিদগ্ধদের অনেকের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গিয়াস উদ্দিন ৯৮ শতাংশ ইনহেলেশন ইনজুরিতে জ্বলছে, নজরুল ইসলাম ১০০ শতাংশ, মহিউদ্দিন ৮০শতাংশ এবং নুর হোসেন ৬০ শতাংশ ইনহলেশন ইনজুরিতে জ্বলছে।’এ দুর্ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিএসআরএমের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) তপন দাশ গুপ্তা বলেন, ‘কারখানায় দুর্ঘটনার কথা শুনেছি। তবে কি কারণে এই দুর্ঘটনা হয়েছে তা বিস্তারিত জানিনা। খবর নেয়ার চেষ্টা করছি আমি।’
চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, ‘কারখানাতে লোহা গলানোর সময় তরল সীসায় দগ্ধ অবস্থায় ৫ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে মো. কাশেম নামের একজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া বাকী ৪ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।’একই প্রসঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়া জোয়ারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ ফরিদ বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। তবে কি কারণে এ দুর্ঘটনা হয়েছে সেই বিষয়ে জানার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগযোগ করছি।