আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
বিশ্বের ১০টি প্রভাবশালী দেশে করোনাভাইরাসের আক্রমণ, জেনে নিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রিপোর্ট অনুসারে বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীতে কত জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিড -১৯ করোনাভাইরাসে।বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাস সারা পৃথিবী থেকে কেড়ে নিল ৩ লক্ষ ৯৯ হাজার ৬০১ জনের প্রাণ, বিশ্বজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯ লক্ষ ৭ হাজার ৬৯৪ জন এই মহামারী থেকে মুক্তি পেয়েছেন, ৩৩ লক্ষ ৮০ হাজার ৭৯৮ জন, সারা পৃথিবী জুড়ে মৃত্যুর সংখ্যা, ৩ লক্ষ ৯৯ হাজার ৬০১ জন, ভয়াবহ এই মহামারিতে মৃত্যুবরণ করেছেন।
অদৃশ্য এ শক্তি কে পরাজিত করতে পারেনি পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিধর দেশ আমেরিকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর প্রথম স্থানে, রয়েছে, করোনাভাইরাস আক্রান্তের দেশে হিসাবে। দেশটিতে এ পর্যন্ত ভয়াবহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, ১৯ লক্ষ ৭২ হাজার ২৪ জন, এর মধ্য থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৭ লক্ষ ৩৮ হাজার ৮৮৮ জন, ভয়াবহ এ করোনাভাইরাসে পরাজিত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছে এক লক্ষ ১১ হাজার ৫২৯ জন।
দ্বিতীয় স্থানে যে দেশটি স্থান করে নিয়েছে সেটি হচ্ছে, যুক্তরাজ্য দেশটিতে এ পর্যন্ত সংক্রমনের সংখ্যা, ২ লক্ষ ৮৮ হাজার ৮৬৮ জন এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন,৩৪৪ জন, দেশটিতে, মৃত্যুর মিছিলে যুক্ত হয়েছে ৪০ হাজার ৪৬৫ জন মানুষের নাম।
পৃথিবীর ৩ নম্বর স্থানে রয়েছে ফুটবল খেলার দেশ ব্রাজিল দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ১৩৯ জনে, দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন,৬ লক্ষ ৫০ হাজার ৫০৪ জন, তবে উন্নত চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৩ লক্ষ ২ হাজার ৮৪ জন।
৪ নাম্বারে স্থানে করে নিয়েছে ইতালি, এর মধ্যে করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ইতালি, ইতালিতে এ পর্যন্ত ২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৫৩১ জনকে করোনা ভাইরাসে সনাক্ত করা হয়েছে এর মধ্য থেকে এক লক্ষ ৬৩ হাজার ৭৮১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন, এই ভয়াবহ করোনাভাইরাসে দেশটিতে মৃত্যুবরণ করেছে ৩৩ হাজার ৭৭৪ জন।
অদৃশ্য এই যুদ্ধ পিছিয়ে থাকেনি ছবির মত শহরের দেশ, ফ্রান্স এই দেশে মৃত্যুর সংখ্যা কে রেকর্ড করে ৫ নম্বরে স্থান করে নিয়েছে দেশটি। ফ্রান্সের এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা,এক লক্ষ ৮৯ হাজার ২২০ জন এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন, ৭০ হাজার ৫০৪ জন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে দেশটিতে, ২৯ হাজার ১১১ জন, এই মৃত্যুর সংখ্যাটা পৃথিবীরতে ৫ নম্বর স্থানে রয়েছে দেশটি।
ভয়াবহ করোনাভাইরাসে মৃত্যুর মিছিলে ৬ নম্বার স্থানে, অর্জন করেছেন স্পেন, দেশটিতে এ পর্যন্ত ভয়াবহ করোনা ভাইরাসে, মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে, ২৮ হাজার ৭৫২ জনে। দেশটিতে প্রতি মিনিটে যেন বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা স্পেনে সর্বমোট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৮৮ হাজার ৫৮ জন, এর মধ্যে এ ভয়াবহ অভিশাপ থেকে মুক্তি লাভ করেছেন, এক লক্ষ ৯৬ হাজার ৯৫৮ জন, তারা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন।
করোনাভাইরাস আক্রমণকারীর দেশ হিসেবে ৭ নম্বরে স্থান পেয়েছে মেক্সিকো দেশটিতে এ পর্যন্ত এক লক্ষ ১০ হাজার ২৬ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে, এর মধ্য থেকে দুঃখজনক হলেও সত্যি যে এখনো এ পর্যন্ত ৭৮ হাজার ৫৯০ জন মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন দেশটিতে। মেক্সিকো দেশটিতে ১৩ হাজার ১৭০ জন মৃত্যুবরণ করেছে করোনাভাইরাসের কারণে। এই মৃত্যু সংখ্যাটা নিয়ে দেশটি রয়েছে বিশ্বের ৭ নম্বর স্থানে।
এবার ৮ নম্বরে স্থান পেয়েছে বেলজিয়াম দেশটিতে এ পর্যন্ত ৫৯ হাজার ৭২ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে, চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১৬ হাজার ১৯০ জন, দেশটিতে দুঃখজনকভাবে ৯ হাজার ৫৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা ভাইরাসে এই মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিশ্বের ৮ নম্বর স্থানে রয়েছে বেলজিয়াম নামের এ দেশটি।
এবার ৯ নম্বরে স্থান করে নিয়েছে জার্মানি, ভয়াবহ করোনাভাইরাসে দেশটিতে সর্বমোট আক্রান্ত হয়েছে, এক লক্ষ ৮৫ হাজার ৪১৪ জন, এর মধ্যে থেকে উন্নত চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন, এক লক্ষ ৬৮ হাজার ৯০০ জন, দেশটিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৭৬৩ জন,
বিশ্বের প্রাণঘাতী ভয়াবহ মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে, বাদ পড়েনি, ইসলামিক রাষ্ট্র ইরানেও, দেশটিতে ৮ হাজার ২০৯ জন, করোনা ভাইরাসে, মৃত্যুবরণ করেছে। এই মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিশ্বের ১০ নম্বর দেশ হিসাবে স্থান করে নিয়েছে দেশটি। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এক লক্ষ ৬৯ হাজার ৪২৫ জন, এর মধ্য থেকে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন এক লক্ষ ৩২ হাজার ৩৮ জন।
করোনাভাইরাস চীনের উহান শহর থেকে উৎপত্তি হলেও সেই দেশটি এখন বিশ্বের ১০ নম্বর স্থানে নেই আমাদের এই প্রতিবেদনে প্রথমের দিকে ছিল চীন তিন নম্বর স্থানে পরে আস্তে আস্তে সেটি এখন আর আমাদের তালিকায়ও নেই চীনের কি এমন মন্ত্র ছিল যে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস কে খুব শিগগিরই তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে এটি নিয়ে আদৌ পৃথিবীর মানুষের মনে প্রশ্ন থেকে গেল।