নিজস্ব প্রতিবেদক
সম্প্রীতি বরগুনায় স্ত্রী স্বামীর সামনে রিফাত শরীফ কে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় এখনো পর্যন্ত সব আসামি গ্রেপ্তার করা হলেও মিন্নির নিরাপত্তা অনিশ্চিত তাকায় পুলিশ তার বাড়ির পাশে বাড়ি করলেন বরগুনায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির বাড়িতে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বর্তমানে মিন্নির বাড়িতে পুলিশের তিনটি ডিউটি পোস্ট বসানো হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ সদস্য। মিন্নির নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক দশজন পুলিশ অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে মিন্নির বাবা ও পুলিশ।
১০জন পুলিশের মধ্যে ৩ জন পুলিশ মিন্নির বাড়ির সামনে পাহারা দেবে এর মধ্যে তিনজন করে ৮ ঘন্টা ডিউটিতে থাকবে বলে জানা যায় প্রতি ৮ ঘণ্টায় তিনজন করে পুলিশ ডিউটি করবে মিন্নির বাড়ির সামনে পাহারা দেবে গত ২৬ জুন রিফাত শরীফকে হত্যার পরই মিন্নির বাড়িতে পুলিশের একজন উপপরিদর্শক (এসআই) এবং তিনজন কনস্টেবল মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে একজন উপপরিদর্শক ও পরিদর্শকের নেতৃত্বে ৯ জন কনস্টেবল বাড়ির তিনটি ডিউটি পোস্টে অবস্থান করছেন।
গত সোমবার সকালে বরগুনা সদরের নয়াকাটা গ্রামে মিন্নিদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাদের ঘরের সামনে পুলিশের থাকার জন্য নতুন করে একটি টিনের ঘর তৈরি করা হচ্ছে। যেখানে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি পুলিশের টিম সার্বক্ষণিক থাকার ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানান পুলিশ। এ ছাড়া বাড়ির পেছনে দুটি এবং সামনে একটি টিনের চালা দিয়ে নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়।এদিকে রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের নতুন একটি সিসিটিভি ফুটেজের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর মিন্নির বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। ওই ভিডিও ফুটেজে
দেখা যায়, ২৬ জুন ১০টা ১২ মিনিটে রিফাত শরীফ স্ত্রী মিন্নিকে নিয়ে কলেজের গেট দিয়ে বের হয়ে আসেন। হঠাৎ মিন্নি পেছন থেকে পুনরায় কলেজের দিকে চলে যায় রিফাত শরিফও তার সঙ্গে কলেজের দিকে যান। এর একটু পরই রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজীর নেতৃত্বে কয়েকজন সন্ত্রাসীরা রিফাত শরীফকে কিলঘুষি মারতে মারতে নয়ন বন্ডের দিকে নিয়ে যায়। এ সময় স্ত্রী মিন্নি পেছনে পেছনে স্বাভাবিক গতিতে হাঁটছিলেন। পরে রিফাত শরীফকে কোপানোর সময় মিন্নি তাকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করেন। তবে তার আগে রিফাতকে সন্ত্রাসীরা ধরে
নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে নির্লিপ্ত দেখা যায়।এ ঘটনায় মিন্নিরও হাত আছে বলে মনে করেন অনেকেই সিসিটিভি ফুটেজ মিন্নির স্বাভাবিক গতিতে হাঁটায় সবার চোখ এখন মিমির দিকে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গত ৩ জুলাই মামলার ২ নম্বর আসামি এবং কিলিং মিশনের নেতৃত্বদানকারী রিফাত ফরাজীকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে
নেওয়া হয়। এরপর থেকেই মিন্নির বাড়িতে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানা যায়।মিন্নিকে পুলিশি নজরদারিতে রাখা হয়েছে কি না অথবা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হবে কি না, জানতে চাইলে বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।মিন্নির বিষয় এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি তবে এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বরগুনার এ পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন।
