
বিগত ৪ দলীয় জোট সরকারের আমলে রেলওয়েকে বেসরকারী করণের জোর প্রচেষ্টা করে আসছিলো বিএনপি-জামায়েত জোট চক্রের নেতারা। রেলওয়েকে বেসরকারি করণের বিরুদ্ধে রেলওয়ের শ্রমিকলীগ সহ বেশ কয়টি সংগঠন তীব্র প্রতিবাধের মুখে তা পারেনি। বর্তমান মহাজোট তথা বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসলে ঐসকল বিএনপি-জামায়েত জোট সরকারের নেতারা রাতা-রাতি দল পাল্টিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে বর্তমান সরকার বিরোধী ও রেলওয়ের উন্নয়ন বিরোধী কর্মকান্ডের বিরোধীতা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু বর্তমান সরকারের নানা বিরোধীতা করা সত্বেও আওয়ামীলীগ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে রেলওয়ের উন্নয়নে। নতুন নতুন রেল লাইন স্থাপন, ডাবল লাইন
চালু, মিটারগেজকে ডুয়েল গেজে রুপান্তর, নতুন ইঞ্জিন ও কোচ আমদানি ও তৈরি, পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সাথে রেল যোগাযোগ স্থাপন, পদ্মা সেতুতে রেল লাইন স্থাপন সর্বোপরি রেলওয়ের জন্য রেল মন্ত্রণালয় গঠন করে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে বিগত ১০ বছরে ও চলমান সময়ে হাজার হাজার শ্রমিক নিয়োগ, বন্ধ রেল স্টেশন চালুসহ বিগত ১০ বছরে এবং বর্তমান সরকার গঠনের পর হতে রেলওয়েতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন কর্মকান্ড চলছে দেশব্যাপী। তবু বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের কথিত নেতা আওয়ামী সরকার ও উন্নয়ন বিরোধী মোখলেছুর রহমান বিভিন্ন সময়ে সরকার বিরোধী, রেল শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দ ও সাবেক মাননীয় রেলমন্ত্রী মো: মজিবুল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক,
চট্টগ্রামের আ লিক পত্রিকা ও ইলেক্ট্রেনিক মিডিয়ার মাধ্যমে সরকারের নানা সমালোচনা ও বিষোদগার করায় ২৪ অক্টোবর ২০১৪ সালে মোখলেছুর রহমানকে ঢাকায় কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশনে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মোখলেছুর রহমানকে গণধোলাই দেয়। তবুও মোখলেছুর রহমান ও নেজাম উদ্দিন গং সরকারের বিরোধীতা করে আসছে। সর্বশেষ গত ৩১/১২/২০১৭ ইং সালে মেয়াদ উর্ত্তীণ সংগঠন বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যানারে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে। সম্মেলনে সরকার বিরোধী চক্রের মোল হোতা কথিত সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক মোখলেছুর রহমান গং ও বিএনপি-জামায়েত জোটের নেতা মোহাম্মদ আলীর সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আব্দুস সবুর, রফিক চৌধুরী,
বিএনপি নেতা কাজী আনোয়ারুল হক হনি, মাহবুবুর রহমান পিন্টু, ফারুক আলম, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস.কে খোদা তোতনের বড় এস.কে বারী খোকনসহ বিএনপি-জামায়াতের অনেক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনের সংবাদটি ০১/০১/২০১৮ সালে জাতীয় দৈনিক সহ চট্টগ্রামের সকল আ লিক পত্রিকায় ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদটি প্রকাশিত হয়। মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বানোয়াট অভিযোগ তুলে আওয়ামী সরকারের তথা রেল মন্ত্রণালয় ও মাননীয় রেলমন্ত্রী মহোদয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হলে মাননীয় মন্ত্রী মোখলেছ গংদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা ও রেলওয়ের কন্ট্রাক্টররা চাঁদাবাজীর অভিযোগে মোখলেছ গংদের বিরুদ্ধে মামলা করলে মোখলেছ গংরা আত্মগোপনে থাকে দীর্ঘদিন ধরে এবং ঐ সংবাদ সম্মেলনের পর হতে
আর কোন কর্মসূচীতে দেখা যায়নি। অন্যদিকে মোখলেছের কাছে অবৈধ দখলে থাকা চট্টগ্রাম ষ্টেশন মাষ্টারের এয়ার মার্ক করা যা বর্তমানে বয়লার এভিনিউ বাসাটি অবৈধভাবে বরাদ্দ নেওয়ার কারণে তৎকালীন মাননীয় রেলমন্ত্রী মো: মজিবুল হকের নির্দেশে বাসা বরাদ্দটি বাতিল করেন। অন্যদিকে মোখলেছের ছেলে মোর্শেদকে জুনিয়র অডিটর টিএ ব্রা পদে দূর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ পেলে মাননীয় মন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করে মোখলেছের ছেলের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয় এবং মাখলেছের সাথে কথিপয় রেল কর্মকর্তার ভালো সম্পর্ক থাকায় সাবেক ব্যবস্থাপক আবদুল হাইকে তাৎক্ষনিকভাবে রেল ভবনে বদলি করে। মোখলেছুর রহমান গত ২০ বছর ধরে অবৈধভাবে সংগঠনের পদ দখল করে মেয়াদ উর্ত্তীণ কমিটির সংগঠনের পাশ ব্যবহার করে অনৈতিক
সুবিধাগ্রহণ করে আর ঐ সকল অনৈতিক কাজকে সমর্থন করে আসছে বর্তমান এডিজি মিয়া জাহান। মোখলেছ ও নেজাম গং পরিবহণ ও বাণিজ্যিক বিভাগের কোন পদন্নোতীর পরীক্ষা ডিও হলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে পরীক্ষা বাতিল করে। অপর দিকে মোখলেছ ও নেজাম গং রেলওয়ের বাসা বরাদ্দের মাধ্যমে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে আসছে। ৩১/১২/২০১৭ সালের সরকার ও রেল উন্নয়ন বিরোধী সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজক ও প্রধান সমন্বয়কারী নেজাম উদ্দিন, প্রাক্তন ষ্টেশন মাস্টার-৩ বারিয়াঢালা, বর্তমানে সদর রসুলপুরে বদলির আদেশ হওয়া সত্বেও কর্মস্থলে যোগদান না দিয়ে প্রায় ১৮ মাসের বেশি কর্মস্থলে বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকিয়া মোখলেছ গংগের প্রিয়ভাজন ষ্টেশন মাস্টার কর্মচারী ইউনিয়নের চট্টগ্রাম বিভাগের সম্পাদক দাবি করে
বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড, অনৈতিক কার্যকলাপ করে সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট করে কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ভয়-ভীতি ও হুমকি দিয়ে পায়দা লুটের চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষ মো: নেজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে কোন ইএন্ডডি রুলস ১৯৬১ ধারা মোতাবেক কোন আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ না করে তাকে অবৈধ সুবিধার পায়তারা দিচ্ছে। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মহলে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়। মো: নেজাম উদ্দিন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদ-পদবী ব্যবহার করে কর্মকর্তাদের চেম্বারে প্রবেশ করে বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণ করার চেষ্টা করে। গত ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর নতুন সরকার গঠন করলে বর্তমান মাননীয় রেলমন্ত্রী এড. নুরুল ইসলাম সুজন মহোদয়কে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর মাধ্যমে আবারও সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। নেজাম উদ্দিন ছাত্র
জীবনে চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। ৪ দলীয় জোট সরকারের আমলে জামায়েত নেতা সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহানের সুপারিশে মাননীয় যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাউদ্দিন আহমেদ তাকে খালাসি পদে নিয়োগ সুপারিশ করে। নিয়োগ পরবর্তীতে পদবী পরিবর্তন করে খালাসি পদ হতে পদন্নোতির সুযোগে সহকারী ষ্টেশন মাস্টার পদে যোগদান করেন। বিএনপি-জামায়াতের নেতা হয়ে রাতা-রাতি দল পাল্টিয়ে ষ্টেশন মাস্টার কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোখলেছুর রহমানের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে সংগঠনের সম্পাদক পদটি দখল
করে নেয় আর এই পদের বৌদলতে রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন সময়ে মারধর ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে নানা রকম অনিয়ম-দূর্র্নীতি করে নিয়োগ বাণিজ্য, বাসা বরাদ্দ বাণিজ্য, বদলী বাণিজ্য ও ষ্টেশন মাস্টারদের কাছ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে চাঁদা আদায় করে রাতা-রাতি কোটিপতি বনে জায়। ষ্টেশন মাস্টারদের মামলার টাকা হজের টাকা হিসাবে খরচ করে মো: নেজাম উদ্দিন। দীর্ঘ ১৮ মাসের বেশি চাকুরী না করে বেতন না পেলেও ষোলশহর রেল ষ্টেশনে তার নামে বরাদ্দ বাসায় নিজে বসবাস না করে অবৈধভাবে বহিরাগতদের কাছে ভাড়া দিয়ে উক্ত
বাসা ব্যবহার করে ইয়াবা ও অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করে। উক্ত শিবির ক্যাডার নেজাম উদ্দিন ও মোখলেছ গংগের বিরুদ্ধে সরেজমিনে তদন্ত করে রেলওয়ের অবৈধ ব্যবসা ও অনিয়মতান্ত্রিক অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে এইএন্ডডি রুলস ১৯৬১ এর ধারা মোতাবেক আইনগত ও ফৌজদারী ব্যবস্থা গ্রহণ করে রেল কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করার জোর দাবি জানাচ্ছি।