ছাতক প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের ছাতকের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিওর কিছু কুচক্রী মহল। চাকরি দেয়ার নাম করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এনজিওর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।ছাতকে রেনু স্বাস্থ্য ও শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের নামে এনজিও নামধারি এক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে । ভুয়া একটি এনজিও চাকরি দেবার নাম করে একটি প্রতারক চক্র গত এক মাসে পাঁচ শতাধিক চাকরি প্রত্যাশীর কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। এমন অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতি টের পেয়ে অফিস ছেড়ে প্রতারক চক্ররা পালিয়ে গেছে। গত ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ নতূনবাজার এলাকার নুরুরহমান
মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। প্রতারকরা স্কুল পরিদর্শক, কম্পিউটার অপারেটর, শিক্ষিকা ও অফিস সহকারি পদে প্রার্থীদের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছে।
জানা যায়, প্রায় তিন সপ্তাহ আগে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ নতুনবাজারের নুরুরহমানের মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ভাড়া নিয়ে “হাসিখুশি স্কুল (আমাদের স্কুল) প্রকল্পের নামে একটি বিভাগীয় অফিস চালু করা হয়। ইউনাইটেড মুসলিম আমেরিকা (ইউএমএ) নেদারল্যান্ড ভিত্তিক দাতা সংস্থা ও মালয়েশিয়া প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার আর্থিক সাহায্যে পরিচালিত ঝড়েপড়া শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার ইউনিয়ন, গ্রাম ভিত্তিক “হাসিখুশি স্কুল (আমাদের স্কুল) প্রকল্পের মাধ্যমে জেলার একটি দৈনিকে জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে স্কুল পরিদর্শক
পদে ৮০জন, কম্পিউটার অপারেটর পদে ২০জন, শিক্ষিকা পদে ৪৬০জন ও অফিস সহকারি পদে ৩০জনকে আহবান করা হয়। শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ বিভিনś পদে সাড়ে ৪হাজার থেকে ৮হাজার টাকা বেতন দেয়া হবে জেনে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার প্রায় ৯শতাধিক লোকজন অনলাইন ও সরাসরি আবেদন করেন। আবেদনের সাথে নগদ ১শ’ থেকে দুইশত টাকা গ্রহণ করা হয়। শুক্রবার আবেদনকারিরা বিভাগীয় এ অফিসে ইন্টারভিউ দিতে সকাল ৭টা থেকে বিভিনś উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের লোকজন জড়ো হতে থাকে। এক পর্যায়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এলাকায় লোকে লোকারণ্যে পরিনত হয়।ইন্টারভিউর গ্রহণ শুরু হলে চাকুরি দেয়ার নামে প্রার্থীদের কাছ থেকে অগ্রিম এক হাজার থেকে ছয় হাজার টাকা পর্যন্ত উৎকোচ গ্রহণ করে প্রতারক
চক্র। এসব অভিযোগ ভুক্তভোগিদের। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সাংবাদিকরা সেখানে পৌঁছে কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানার চেষ্টা করেন। এসময় নিজেকে এ প্রকল্পের একজন অফিসার পরিচয় দিয়ে রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার টিবামধুপুর গ্রামের জনৈকের পুত্র শাহিন আকন্দ। তার বিরুদ্ধে আদম.নারী.শিশুপাচারকারি হিসেবে রয়েছে ব্যাপক অভিযোগ।এদিকে দোয়ারাবাজার উপজেলার মোরাদপুর গ্রামে আছিয়া বেগম ও মারজিয়া বেগমকে স্কুল পরিদশক পদে চাকুরী দেয়ার নামে তাদের কাছ থেকে পরীক্ষা আগে দিন অফিস কর্মরতা হাজেরা বেগম. সুমন ও শাহীন আকন্দ দেড় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেছেন তার ফুফুতো ভাই আশিক মিয়া নামে এক ব্যক্তি। অফিস থেকে পালিয়ে গেছে রংপুরের শাহিন আকন্দ, তার
প্রধান সহযোগি বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজির ইউনিয়নের ৪নং ওয়াডে পাঠানোর গাও প্রকাশিত তালুকজগতের গ্রামের হাজী উস্তার আলীর ভাতিজি ও সরকুম আলীর কন্যা হাজেরা বেগম ও ছাতক পৌরশহরের শাহেদ, ও দোয়ারিগাঁও গ্রামের আমির আলী, গোবিন্দগঞ্জ দীঘলী গ্রামে সুমেনা বেগম, দক্ষিণ সুনামগঞ্জের আছতমা গ্রামে সুমন মিয়্।া তাদেরকে ৮ডিসেম্বর বিভিনś পদে নিয়োগ প্রদান করার পর থেকে চলছে নানা ধরনের প্রতারনা। এসময় ইন্টারভিউ দিতে আসা প্রার্থীরা মার্কেটের সামনে টাকা নেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার
মো. গোলাম কবিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান. এটির কোন অনুমতি নেই। থানার এসআই হাবিবের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অফিসের কাগজ মালামাল জব্দ করে অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ চত্রেুর এঘটনার হোতাদের গ্রেফতার করতে পুলিশ ব্যাপক তৎপতা চালিয়ে যাচ্ছেন।বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা এ সময় পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন এসব প্রতারক চক্র সাথে যারা জড়িত আছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন পুলিশ।