নিউজ ডেস্ক:
এখন থেকে কোনো ওয়াজ মাহফিলে কোন বক্তা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিলে আয়োজকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়।জাতীয় সংসদে।কোনো ওয়াজ-মাহফিলে বক্তা উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়া হলে সেই বক্তার পাশাপাশি আয়োজকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।আজ রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি মো. হাফেজ রুহুল আমীন মাদানীর সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে কমিটির সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, জিন্নাতুল বাকিয়া, তাহমিনা বেগম ও রত্না আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শীতের শুরুতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসলামী জলসা বা মিল্লাদ-মাহাফিল শুরু হয়েছে। এ ধরনের ইসলামী জলসা থেকে ধর্মীয় উসকানি দেয়া হচ্ছে। এমনকি সরকারবিরোধী প্রচারণাও চলছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে ধর্মীয় উসকানি বন্ধের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।কমিটি সূত্র জানা যায়, বৈঠকে আলোচনা শেষে সারা দেশে ইসলামী জলসার নামে ধর্মীয় উসকানিমূলক বক্তব্য ও প্রচারণা বন্ধের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে বলে যায়।এর আগে কমিটির সদস্যরা দেশের বিভিন্ন স্থানে উসকানিমূলক ঘটনা তুলে ধরে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতি উত্তরণে ওয়াজ মাহফিলসহ ধর্মীয় জলসা আয়োজনে
স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি বাধ্যতামূলক করার অনুরোধ করেন এ কমিটি এবং রাত ১১টার পর কোনো অনুষ্ঠান না রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।বৈঠকে আরো জানানো হয়, হজ্ব কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য হজ্ব ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করা হয়েছে। সৌদি আরব ও বাংলাদেশ সরকারের দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন হজ্বযাত্রী হজ্ব করার সুযোগ পাবেন।এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার জন। এ বছর শতভাগ হজ্বযাত্রীর ইমিগ্রেশন মক্কা রুটের মাধ্যমে ঢাকায় সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন এ কমিটি।এদিকে কমিটির বৈঠকে আলোচনা শেষে হজ্বত্রীদের আরও উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত
করতে হবে বলে জানিয়েছেন হজ্ব মেডিকেল টিমে সহায়ক হিসেবে মেডিকেল ডিপ্লোমা সার্টিফিকেটধারীদের অগ্রাধিকার দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।এ ছাড়াও সংসদীয় কমিটি প্রতিটি সংসদীয় আসনে মসজিদের মেরামত ও সংস্কার করার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় হতে বার্ষিক ১০ লাখ টাকা, মাদ্রাসার জন্য ৫ লাখ টাকা এবং মন্দিরের জন্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ড গঠন ও কল্যাণ ট্রাস্টের জন্য নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য স্থায়ী জমি বরাদ্দের কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার তাগিদ দেয়া হয়।ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দকৃত টাকা মসজিদ-মাদ্রাসায় কাজে ব্যয় করতে আহ্বান জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়।