
অজানা বাংলাদেশ ডেস্কঃ চট্টগ্রাম শহরের বাকলিয়ায় গলা কেটে চার সন্তানের জননীকে হত্যার ঘটনায় জড়িত স্বামী মো. জয়নাল আবেদীনকে (৩২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনার দীর্ঘ ১৬ মাস পর রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুমিল্লার কান্দিরপাড় এলাকার একটি চায়ের দোকান থেকে তাকে গ্রেফতার করা।
খবর শুনা মাত্র সেখানে ছুটে যান তার চার সন্তান। এ সময় তারা মায়ের হত্যার বিচার দাবি করেন।
উল্লেখ্য ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর বাকলিয়া থানাধীন তুলাতলী লিজা বিল্ডিংয়ের একটি ভাড়া বাসা থেকে চার সন্তানের জননী রোকসানা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন নিহতের স্বামী জয়নাল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লার কান্দিরপাড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জয়নাল আবেদীন ফুটপাতে ফল বিক্রি করতেন, আর স্ত্রী রোকসানা বেগম ছিলেন গার্মেন্ট কর্মী। অভাব-অনটন নিয়ে সংসারে বিভিন্ন সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হতো। ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর দিবাগত রাতে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদের সৃষ্টি হয়। ঝগড়ার জেরে ওই রাতেই জয়নাল আবেদীন তার স্ত্রী রোকসানা বেগমকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। পরে মরদেহের পাশে ছুরি ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নিহতের বোনের স্বামী মাহমুদ জলিল বাদী হয়ে নগরীর বাকলিয়া থানায় জয়নালকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জয়নালকে আদালতে তোলা হলে সেখানে উপস্থিত হয় তার চার সন্তান। পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে তামান্না আকতার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। এ সময় সে জানায়, ’আমার মাকে যেভাবে হত্যা করেছে আমার বাবারও সেই অবস্থা চাই আমি। ফাঁসি চাই এই নরপশু নামক বাবার।
নিহত রোকসানার বোন লাভলী কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, বিয়ের পর থেকে একবিন্দু সুখ জয়নাল আমার বোনকে দেয়নি। সারাদিনই ঝগড়া লেগে থাকত দুই জনের মধ্যে। চার সন্তানের কথা একটু ও ভাবেনি সে। আমার বোনের সন্তানদের এতিম করে দিল জয়নাল।
বর্তমানে এই চার সন্তানকে নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে বলে জানান লাভলী। এ সময় জয়নালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়।