চট্টগ্রামে পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশ অমান্য করে পুকুর ভরাট ও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের কাজ চলছে। নগরীর বায়েজিদ থানাধীন ২ নং জালালাবাদের কুলগাঁও গ্রামের কবির আহমদ সওদাগরের বাড়িতে শতবর্ষী পুকুরকে ঘিরে এই অবৈধ কর্মকাণ্ড চলছে।
স্থানীয় কয়েক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুকুর ভরাট করে দালান নির্মাণের প্রস্তুতির অভিযোগ উঠে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, মো. মোবাশ্বের, পিতা- কালামিয়া, নজর আহমেদ, পিতা মরহুম নূর হোসেন, মোঃ খোরশেদ, পিতা এম ইউনুস, মোঃ মুসা, পিতা-মরহুম অলি আহমদ, মোঃ মোসলেম মিয়া, পিতা-মরহুম কবির আহমদ। তারা সবাই কবির আহমদ গং। পৈতৃক সূত্রে তাদের পুকুরের অভিযুক্ত মোক্তার আলমকে সতর্ক করে তাকে পুকুর ভরাট থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, নগরীতে কোনো জলাশয় ভরাট করতে হলে ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং সিটি করপোরেশনকেও অবহিত এবং অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু তার কোনো কিছুই পালন করা হচ্ছে না অনেক ক্ষেত্রে। ঐতিহ্যবাহী এ পুকুরটিকে ভরাট করার ব্যাপারেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কোনো সংস্থা থেকেই অনুমতি নেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, অভিযোগকারী মোহাম্মদ শফী ও অভিযুক্ত মোক্তার আলমের বক্তব্য শোনা হয়েছে। তারা দুজনেই পরস্পরের বিরুদ্ধে পুকুর ভরাটের অভিযোগ করেছেন। পুকুর ভরাটের অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
অভিযুক্ত মোক্তার আলম বলেন, পুকুরটির কয়েক জন মালিকের মধ্যে তিনিও একজন। তবে পুকুর ভরাটের জন্য সরকারি অনুমতি নেয়া হয়নি, শ্রেণি পরিবর্তনও করা হয়নি। নিজের অংশ বুঝে নেয়ার জন্য বেড়া দেন তিনি। তিনি বলেন, অভিযোগকারী শফী নিজেও সরকারি অনুমতি ছাড়া ২০ বছর আগে একই পুকুরের অংশবিশেষ ভরাট করে দোকানপাট নির্মাণ করেছেন।