ছাতক প্রতিনিধি:
ছাতকে অকাল বন্যার আশংকায় হাওরের বোরো ফসল আগাম কাটার জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করতে কাচি হাতে হাওরে নেমেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা। দেশে করোনা পরিস্থিতির কারণে চলতি বোরো মৌসুমের বোরো ধান কাটার শ্রমিক সংকট নিরসনে এমন ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়েছেন ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কবির। আজ মঙ্গলবার বিভিন্ন হাওরে কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে কাচি হাতে প্রতীকি হিসেবে বোরো ধান কাটতে দেখা গেছে। কর্মকর্তাদের এমন ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগে বোরো ধান কাটার শ্রমিক সংকট অনেকটাই নিরসন হবে বলে অনেকেই মনে করছেন।
ইতিমধ্যেই ফ্রিতে বোরো ধান কেটে দেয়ার আহবান জানিয়ে যোগাযোগ করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস পোস্ট করেছেন অনেকেই। পরিবহন শ্রমিক নেতা খালেদ মিয়া তিনি তার আইডিতে লিখেছেন, ধান কাটার শ্রমিক সংকট হলে তার সাথে যোগাযোগ করার জন্য। তারা ৩০-৩৫ জনকে নিয়ে টিম গঠন করেছেন। হাসনাবাদ এলাকার হাওরে বোরো ধান কাটায় সাহায্য করতে তারা প্রস্তুত আছেন।
এদিকে, অকাল বন্যার আশংকায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ধান কাটার পরামর্শ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কবির। আজ মঙ্গলবার ভাতগাঁও ও দেখার হাওরে প্রতীকি হিসেবে বোরো ধান কাটার সময় কৃষকদের উদ্দেশ্যে বোরো ফসল দ্রুত ঘরে তোলার আহবান জানান তিনি। এ সময় করোনা পরিস্থিতির কারণে অন্য পেশার বেকার হওয়া শ্রমিকদের বোরো ফসল কাটার কাজে ব্যবহারের জন্যও তাদের উদ্ভুুদ্ধ করছেন বলে জানা গেছে।
আজ বিভিন্ন হাওরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাপস শীল, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌহিদ হোসেন খান, ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা কামাল, ভাতগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার আওলাদ হোসেন, সিংচাপইড় ইউপি চেয়ারম্যান মুজাহিদ আলীসহ কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের কাচি হাতে ধান কাটতে দেখা গেছে।