নিউজ ডেস্কঃ
বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বা আক্রান্ত হচ্ছে ডাক্তার-নার্স এবং ব্যাংকের কর্মকর্তারা এবার রংপুর বাজার শাখায় কাজ করেন এমন আরও ছয়জনকে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করে পজিটিভ পাওয়া গেছে। এদের সবাই রংপুর বাজার শাখায় কাজ করেন। ৫ জন কর্মকর্তা এবং একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। শাখাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। সোনালী ব্যাংক রংপুর প্রিন্সিপাল অফিসের ডিজিএম আব্দুল বারেক চৌধুরী আজ শনিবার এসব তথ্য গণমাধ্যমকে বলেন, গত সপ্তাহে মোট ৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সর্দি-জ্বর ও কাশির উপসর্গ দেখা দিলে শাখাটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য নমুনা পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে। “৭ জনের মধ্যে ৬ জনেরই করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে। প্রথমে গত বৃহস্পতিবার এক জনের পজিটিভ আসে।পরে গতকাল শুক্রবার আরো দুই জনের। আর আজ (শনিবার) এসেছে ৩ জনের পজিটিভ।” আক্রান্ত ৬ জনের সবাই নিজ নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জায়েছেন তিনি। গত মঙ্গলবার থেকে শাখাটি বন্ধ রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন,
“এই শাখার গ্রাহকদের পার্শ্ববর্তী অন্য শাখায় লেনদেন করতে অনুরোধ করা হয়েছে।”এর আগে গত ২০ এপ্রিল ১ জন কর্মকর্তা করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ায় ঢাকার মতিঝিলের দিলকুশা শিল্প ভবনের সোনালী ব্যাংকের কর্পোরেট শাখা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। শাখাটি এখনও বন্ধ রয়েছে বলে জানা যায়। বন্ধ শাখার কার্যক্রম মতিঝিল দিলকুশা শাখায় হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে টাকা থেকে ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা আছে তাই ব্যাংকের কর্মকর্তারা সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ একজন করোনাভাইরাসের রোগী যখন টাকা নিয়ে ব্যাংকে জমা দিতে যায় তখন সেই টাকা ব্যাংক কর্মকর্তার হাতে ধরতে হয় ফলে ব্যাংক কর্মকর্তারা দ্রুতই আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে।