নিউজ ডেস্কঃ
মহামারী বিশ্বব্যাপী মরণঘাতী করোনাভাইরাস এক এক সময় এক এক রূপ ধারণ করছেন, এই মরণঘাতী করোনাভাইরাস যখন চীনের উহানে উৎপত্তি হয়েছিল তখন ৬০ বছর ৭০ বছরের বয়সীদের আক্রমণ করেছে, এই ভাইরাসটি যখন ইতালিতে গেল সেখানে ৩০ থেকে ৪০ বছরের মানুষের উপর আক্রমণ করতে শুরু করে পরবর্তীতে ইউরোপ ছাড়িয়ে যখন এশিয়ায় প্রবেশ করে, এই মহামারী করোনাভাইরাস বিশেষ করে বাংলাদেশে গর্ভবতী মহিলা সহ নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে করোনাভাইরাসের কারণে গেল কয়েক দিন আগে করোনায় ৫ থেকে ৭ বছরের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
যতই দিন যাচ্ছে ততোই রুপ পাল্টাচ্ছে প্রাণঘাতী এ করোনাভাইরাস এবার বাংলাদেশের রংপুর জেলায় করোনাভাইরাসের কোন উপসর্গই নেই কিন্তু তিনি করোনা রোগী। রংপুরে উপসর্গ ছাড়াই এক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (রমেক) পিসিআর ল্যাবে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে পাঁচজন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের করোনা ভাইরাসের উপসর্গ ছিলো না। তাদের মধ্যে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় একজন, কুড়িগ্রামের একই পরিবারের তিনজন ও ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে একজন শনাক্ত হয়েছেন।
আজ রবিবার (২৬ এপ্রিল) রমেক হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. নুরুন্নবী লাইজু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রমেক হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ টি নমুনা পরীক্ষা করে পাঁচজন শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় একজন, কুড়িগ্রামের কাঠালবাড়িতে একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রী ও সন্তান এবং ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী একজন আক্রান্ত রয়েছে।আক্রান্ত ব্যক্তি উপজেলা গণস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে চাকরি করেন। তিনি গঙ্গাচড়ার ব্যাংকের মোড়ে থাকেন। তবে তার শরীরের করোনার তেমন কোনো উপসর্গ নেই। অনেকটা কৌতুহলবশত তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিলো।
এ ব্যাপারে গঙ্গাচড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসিফ ফেরদৌস বলেন, গত ২২ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গত কয়েকদিন থেকে তিনি উপজেলার স্বাস্থ্যখাতের প্রকৌশল সংশ্লিষ্ট কাজ করে আসছিলেন। তাই সন্দেহবশত তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছিল। কিছুক্ষণ আগেও তার সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে তার শরীরে তেমন কোন উপসর্গ নেই। রংপুরের সিভিল সার্জন হিরম্ব কুমার রায় বলেন, আক্রান্তের শরীরে উপসর্গ নেই। তার বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে তিনি দুশ্চিন্তা না করে সবাইকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।