হাসান আহমদ ছাতক :
বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ বা নভেল করোনা ভাইরাসের আক্রমণে সারা বিশ্ব যখন অস্থির, উন্নত বিশ্বও নাগরিকদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন থেকেই সারা বিশ্বেই স্বাভাবিক স্বাস্থ্য সেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে। করোনা আত্রুান্ত হয়ে গরীবের ডাক্তার খ্যাত সিলেট ওসমানি মেডিক্যাল কলেজের সহযোগি অধ্যাপক ডাক্তার মইন উদ্দিন মারা যাবার ঘটনায় ছাতক উপজেলার অধিকাংশ ডাক্তার তাদের ব্যক্তিগত চেম্বার বন্ধ থাকায় সাধারন রোগিরা বিনা চিকিৎসায় হিমসিম খাচ্ছে এ সময় অসহায় হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাড়ালো এবং বিনা টাকায় ফেইসবুক ও মোবাইল ফোনে ও কৈতক হাসপাতালে প্রতিদিন বসে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ডাক্তার মোহাম্মদ মোজাহারুল ইসলাম।
তিনি হচ্ছেন ছাতকে কৈতক ২০শষ্যা সরকারি হাসপাতালে মেডিক্যাল অফিসার। রোগীদের চিকিৎসা দিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যতটা অস্থির, ঠিক ততটাই অবহেলা বা অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে স্বাভাবিক চিকিৎসা ব্যবস্থা কৈতক হাসপাতালে । ২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়। ভয়াবহ ছোঁয়াচে এ রোগ সনাক্তের সঙ্গে সঙ্গেই দেখা দেয় মারাত্মক অব্যবস্থাপনা। ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামাদির (পিপিই) অভাবে চিকিৎসকরা রোগীদের সামনে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। বন্ধ হয়ে যায় প্রাইভেট ডাক্তারের চেম্বার। চরম হতাশা সৃষ্টি হয় ছাতকে চিকিৎসা সেবায়। স্থবিরতা নেমে আসে চিকিৎসা সেবায়। এমন বাস্তবতায় প্রতিদিন শ’শ’ রোগী স্বাভাবিক চিকিৎসা সেবা থেকে বি ত হচ্ছে।
স্বাভাবিক চিকিৎসা নিতে রোগীরা হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরছিল। তখনই হাওর পাড়ের সুনামগঞ্জের কৈতক হাসপাতালে মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার মোহাম্মদ মোজাহারুল ইসলাম এখন দক্ষিন সুরমা,ছাতক ও দোয়ারা বাজারসহ তিন উপজেলাবাসির মানুষের একমাত্র ভরসা তিনি নিয়মিত ভাবে সেবা করছেন।। তিনি সামাজিক গনমাধ্যমে ফেইসবুক ও মোবাইল ফোন ও তথ্যপ্রযুক্তিতে ব্যবহার করে তার ব্যক্তিগত উদ্যোক্তা ও চিকিৎসক প্রতিনিয়ত ফেইসবুক ও মোবাইল মাধ্যমে জ্বর সর্দি কাশি হৃদরোগ ষয়ুরোগ বাত-ব্যাথা
প্যারালাইসিস নাক কান গলা এবং ডায়াবেটিস সহ নানা ধরনের রোগিদের বিনা ফিসে তিনটি উপজেলাবাসির মানুষদের রক্ষা করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও মোবাইল ফোনে দিয়ে একটা টেলিমেডিকেল মাধ্যমে গভীর রাত পযন্ত ফেইসবুকে ব্যবস্থা পত্র তৈরি করে রোগিদের ম্যাসেঞ্জারে মাধ্যমে পাঠিয়ে দিচ্ছে। মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার মোজাহারুল ইসলাম এখন ব্যতিত্রুমী সেবা চালু করছেন কৈতক হাসপাতালে। শুধু ছাতক নয় তার কাছ খেকে ফেইসবুকে সেবা নিচ্ছেন দক্ষিন সুনামগঞ্জ,জগন্নাথপুর,দোয়াবাজারসহ নাগরিকরা ফেইসবুকে সদস্য হয়ে টেলিমেডিসিন সেবা পাচ্ছেন। সে একজন আন্তজাতিক খ্যতিমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিসিন উপর এফসিপিএস( মেডিসিন) ডিগ্রী অর্জন করেছে।
তার নেতৃত্বে কৈতক হাসপাতালে প্রতিদিন শ’শ’ রোগিদের বিনা টাকায় স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছেন রোগিরা। তার হাসপাতালে হৃদরোগ, কিডনি, লিভার, চর্ম ও যৌন,গাইনী ও শিশুরোগসহ জীবন ঝুকির মুখে রেখে মানুষের কল্যানে স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছেন।গত মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ফেইসবুক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিচ্ছেন তিনি। অসহায় কমহীন হতদরিদ্র মানুষের একমাত্র কান্ডারি হিসেবে কাজ করেছে। তিনি সকাল থেকে রাত ১২ পযন্ত চিকিৎসক এই মোবাইল ফোনের কল রিসিভ করেন এবং স্থানীয় জনগণ এসব মোবাইল ফোনে ফোন করে হাসপাতালে না এসেই বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ নিতে পারছেন।
এ সেবা চালুর ফলে গ্রাম বা প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসরত ধনী-গরীব সকলের জন্যই বিনামূল্যে সরকারী চিকিৎসকদের নিকট থেকে চিকিৎসা পরামর্শ গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। রাতে জরুরী প্রয়েজনে বা পথের দুরত্বের কারণে চিকিৎসা পরামর্শ পেতে আর দেরী করার প্রয়োজন নেই। যে চিকিৎসা বাড়িতে বসেই সম্ভব তার জন্য হাসপাতালে আসার প্রয়োজন নেই। যে চিকিৎসা গ্রামে বা বাড়ি থাকুন হাসপাতালে আসার প্রয়োজন নেই। আবার যে রোগটি জটিল এবং আশু চিকিৎসা প্রয়োজন তার জন্য অযথা এখানে সেখানে ঘোরাঘুরিতে সময় নষ্ট না করে বড় হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শটিও পাওয়া সম্ভব একটি মাত্র ফোন কল করেই। ব্যস্ত থাকার পর ও মোবাইল ফোনে স্বাস্থ্য সেবায় সু-পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসক।
পেইসবুক ও মোবাইল ফোন স্বাস্থ্য সেবার ব্যাপক প্রচার হলে অনেক রোগী ঘরে বসেই তার চিকিৎসক’এর পরামর্শ নেবেন। ফলে হাসপাতালগুলোর উপর চাপ কমবে আসছে। মোবাইল ফোনে স্বাস্থ্য সেবা সম্প্রসারণ করার দাবি করেন সচেতন মহল। বিনামূল্যে মোবাইল ফোনে চিকিৎসা পেয়ে অনেকেই আবার ওয়ালে আনন্দময় স্মৃতি তুলে ধরছেন। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন নাম উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের। সবাই মিলে, অভিনন্দন জানাচ্ছেন চিকিৎসককে। শুধু চিকিৎসা নয়, একটা মানবিক সেবা চালু করে প্রশংসার দাবিদার ।
ডাক্তার মোহাম্মদ মোজাহারুল ইসলাম সঙ্গে গত রোববাব দুপুরে সরেজমিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে ডাক্তার নিয়মিত রোগীদের পাশে দাড়িয়ে সেবা দিচ্ছে। এসময় তিনি জানান,সব সময়ই রোগীদের পাশে ছিলাম, এখনো আছি। মানুষের উপকার করতে এখন পেইসবুক ও মোবাইল ফোনে স¦াস্থ্য দিচ্চি। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমার একটা নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে, যা আগামী দিনে আরও শক্তিশালী হবে। জ্র সর্দি হলে আমি আগে খবর পেয়ে মোবাইল ফোনে স্বাস্থ্য চালু করেছি।