![](https://ajanabangladesh.com/wp-content/uploads/2022/03/life2.gif)
নিউজ ডেস্কঃ
বিশ্বব্যাপী মহামারী ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠাকাতে বাংলাদেশ পুলিশের অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে মানবিক পুলিশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে। করোনা ভাইরাসের সচেতন মূলক কাজ করতে গিয়ে অনেক পুলিশকে দিতে হচ্ছে নিজের প্রাণ ইতিমধ্যে অনেক বাহিনীর সদস্যরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এমনতো অবস্থায় ময়মনসিংহের ত্রিশালে শ্রমিকদের সচেতন করতে গিয়ে শ্রমিকদের হাতেই লাঞ্ছিত হলেন ও আহত হলেন ত্রিশাল সার্কেল এএসপি ও ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি।
ময়মনসিংহের ত্রিশালে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ঢাকা গামী গার্মেন্টস কর্মী ও শ্রমিকদের ইট পাটকেল নিক্ষেপে আহত হয়েছেন এএসপি ত্রিশাল সার্কেল ও ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ।আজ সোমবার সকালে এএসপি ত্রিশাল সার্কেল স্বাগতা ভট্রাচার্য্য মৌ ও ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে ত্রিশাল থানা পুলিশ ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে অন্য জেলার যাত্রীবাহী যান চলাচলে বাধা দেয়। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বৈলর বাজারে অটোরিকশা পিকআপ ভ্যানচালক শ্রমিকরা ও ঢাকাগামী গার্মেন্টস কর্মীরা জোড়ো হয়ে বৈলর মাড়ে রাস্তায় অবরোধ করে।
এ সময় পুলিশ গামেন্টস কর্মীদের মাস্ক ব্যবহার করা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা বললে বিক্ষুদ্ধ গামেন্টস কর্মী ও শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ কতে থাকে।বিক্ষুদ্ধ গামেন্টস কর্মী ও শ্রমিকদের ছোড়া ইট পাটকেল নিক্ষেপে এএসপি ত্রিশাল সার্কেল স্বাগতা ভট্টাচাৰ্য মৌ ও ত্রিশাল থানার ওসি আজিজুর রহমান আহত হন। আহত স্বাগতা ভট্রাচার্য্য মৌকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ত্রিশাল থানার ওসি আজিজুর রহমানকে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।ওসি বলেন, এএসপি সার্কেল স্যারের নেতৃত্বে আমরা সকাল থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কাজির শিমলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে অন্য জেলা উপজেলা হতে
যাতে যান বাহনে অতিরিক্ত যাত্রী চলাচল না করতে পারে সেজন্যে টহল দিচ্ছিলাম। এ সময় সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকরা ও ঢাকাগামী গামেন্টস শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করলে আমরা বাড়ি চলে যাওয়ার কথা বলি বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ইট পাটকেল মেরে আমাদের আহত করে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অটো শ্রমিক বলেন, মহাসড়কে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে ট্রাক চলাচল করছে। আমরা যাত্রী নিয়ে গেলে অপরাধ কোথায়। আমরা কিভাবে সংসার চালাবো। আমাদের ঘরে থাকতে বলছে অন্যদিকে আমাদের ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে খাবার তো দূরের কথা আমাদের খবরও নেয় না।