
বিনোদন ডেস্কঃ
বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব পুরো ভারতবর্ষজুড়ে নয় এটি সারা পৃথিবী জুড়ে এমন পরিস্থিতিতে চলচ্চিত্র শিল্পীরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে উপহার সামগ্রী পাঠালেও তা ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু মিমি চক্রবর্তী উপহার সামগ্রী অন্যরকম ভাবে নজর কাটছে মানুষের। যেমন যে মানুষগুলোকে দিয়ে উপহার সামগ্রী পাঠাচ্ছেন তাদের মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও কলের মাধ্যমে কার হাতে পৌঁছাচ্ছেন সেটি তদারকি করছেন মিমি চক্রবর্তী নিজেই।
এটা নিয়ে পুরো ভারতবর্ষে আলোচনার সৃষ্টি হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। মিমি চক্রবর্তী ভিন্ন রকম এ উদ্যোগ নজর কেড়েছে কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের।বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাসের সন্ত্রাস। তার মধ্যে শুরু হয়েছে রমজান।লকডাউনের এ সময় এক জোট হয়ে ইফতার আর সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে আবার নতুন ভাবে উদ্যোগী হলেন অভিনেত্রী, সংসদ সদস্য মিমি চক্রবর্তী। রাজপুর আর সোনারপুর এলাকার যে সব মানুষের সঙ্গে গত বছরও একসঙ্গে বসে ইফতার করেছিলেন তাঁদের কাছে পৌঁছে গেলেন মিমি চক্রবর্তী।
এই প্রথম কোনও সংসদ সদস্য লাইভ স্ট্রিমিং-এ তাঁর কাছের মানুষদের সঙ্গে কথা বললেন। ‘‘প্রত্যেক বার রমজানের সময় ওই এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছে দেন রমজানের ইফতার সামগ্রী। কথা বলে। একসঙ্গে খাই। রমজান আসতেই মনে হচ্ছিল, কী করি? আমার দক্ষ অফিসের টিম প্রস্তুত হয়ে গেল। ইফতারের সামগ্রী পাঠালাম আর ওঁদের ফোনে বা ল্যাপটপে সরাসরি সুবিধা অসুবিধার কথা জানতে পারলাম’’, আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন মিমি চক্রবর্তী।
একটি বিশেষ কোডের মাধ্যমে সোনারপুর, রাজপুর অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে সরাসরি ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলেন মিমি চক্রবর্তী নিজেই। তাঁদের প্রিয় সংসদের সঙ্গে কথা বলতে পেরে ও ইফতারের সামগ্রী পেয়ে মানুষও আজ অনেক খুশি। করোনাভাইরাস সম্পর্কে রাজ্য সরকারের নিয়মাবলীর কথাও স্মরণ করিয়ে দেন মিমি চক্রবর্তী ওই লাইভ স্ট্রিমিং-এর মাধ্যমে।
যারা রমজানের ইফতার সামগ্রী পেয়েছেন তাদের প্রিয় সংসদ সদস্যের হাত থেকে তারা আনন্দে আত্মহারা, তারা বলেন মিমি চক্রবর্তী প্রত্যেক রমজানের সময় আমাদের সরাসরি এসে ইফতার সামগ্রী দিতেন কিন্তু এবার বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে তিনি সরাসরি আসতে না পারলেও। তার কাছের লোক গুলোকে দিয়ে আমাদের কাছে ইফতার সামগ্রীর উপহার ফাটিয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমাদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেন মিমি চক্রবর্তী।