আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাস পৃথিবীতে সৃষ্টি করেছেন এক নতুন ইতিহাস এক দেশ থেকে অন্য দেশে এ ভাইরাস খুবই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে গত কয়েকদিন আগেও যেখানে ইতালি ছিল পৃথিবীর শীর্ষে থাকা করোনা ভাইরাসে আক্রমণকারীর দেশ তা এখনই তালিকা ছাড়িয়ে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশ করে করোনাভাইরাস নতুন আরেক ইতিহাস সৃষ্টি করলো যে দেশে ৬৮, হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে আক্রান্ত হয়েছে অন্তত দেড় কোটি মানুষ। বিশ্বজুড়ে মহামারী সৃষ্টি করা নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আজ শনিবার সকালে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে সবশেষ হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী,
করোনাভাইরাসে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৬৭, হাজার ছড়িয়ে ৬৮ হাজার ছুঁই ছুঁই করছে। যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত হওয়া মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৬৮ জনে। আক্রান্তদের এক-তৃতীয়াংশই নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের। শুধু নিউ ইয়র্ক শহরে মৃত্যু হয়েছে ১৯ হাজারেরও বেশি মানুষের। নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে মৃতের সংখ্যা ২৪ হাজার ৪০১ জন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এরপর প্রায় ৭ হাজার মৃত্যু নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্য আর ৩ হাজার ৮০০ মৃত্যু নিয়ে তৃতীয় স্থান আছে মিশিগান। গত বুধবার দেশটিতে শনাক্ত হওয়া নতুন আক্রান্তের সংখ্যা অন্তত ২৫ হাজার ৩৮৮ জন আর মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৪৯৮ জন ছিল বলে জানিয়েছে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়।
রয়টার্স টালি অনুযায়ী, নতুন করোনাভাইরাসের এই প্রাদুর্ভাব শিগগিরই ১৯৬৭ সালের পরে থেকে যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো ফ্লু মৌসুমের চেয়ে প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়াবে। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্য, ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রিত অন্যান্য অঞ্চলেও ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়লেও আফ্রিকান-আমেরিকানরাই এতে আক্রান্ত বেশি হচ্ছেন এবং তারাই বেশি মারা যাচ্ছেন। জর্জিয়া অঙ্গরাজ্য, নিউ ইয়র্কর্ অঙ্গরাজ্যের আলবানি কাউন্টির মতো এলাকাগুলোতে কয়েক দশক ধরে দারিদ্র ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের মধ্যে বসবাস করা আফ্রিকান-আমেরিকানদের পুরো প্রজন্ম এই মহামারীতে হুমকির মধ্যে আছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।