নিউজ ডেস্কঃ
আইন কেবলই সাংবাদিকদের জন্য। এ আইন সাংবাদিকদের দমন পীড়নের জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। ৫৩ দিন নিখোঁজ থাকার পর ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল উদ্বারের পর উদ্বিগ্ন পরিবারের কাছে ফিরিয়ে না দিয়ে উল্টা তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে মামলার ঘটনায় বিএমএসএফ গভীর ভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছে।অন্যদিকে নিখোঁজ ঘটনার জটখুলতেও মামলাটি প্রয়োজন হতে পারে বলে উল্লেখ করে তিনি, যেভাবে ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে সাংবাদিক সমাজ আজ লজ্জিত।
জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহের মাঝে বিশ্ব গণমাধ্যম দিবসে একজন নিখোঁজ সাংবাদিককে নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের এই কেমন বাড়াবাড়ি অনেকটা উদ্বেগের। অন্যদিকে গত ৩০ এপ্রিল নরসিংদিতে ৩ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরধরে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করা হয় সাংবাদিকদের কন্ঠরোধের সামিল বলেও ধারণা করা হচ্ছে এতে। জানা গেছে, রবিবার শেষরাতের দিকে ভারত থেকে বাংলাদেশের বেনাপোল এলাকায় প্রবেশ করেন ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল। তবে কিভাবে প্রবেশ করেছেন সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি এখনো।
বিগত ১০ মার্চ তিনি বহুল আলোচিত পাপিয়া কান্ডের সংবাদ করতে গিয়ে মামলার আসামি এবং তৎপরবর্তী নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি। মাগুরার সংসদ সদস্য তার বিরুদ্ধে ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেন। এই মামলা দায়েরের ২ দিন পরেই তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। নিখোঁজের পর গোটা সাংবাদিক সমাজ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। পরিবারের পক্ষ থেকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় একটি জিডি করা হয়েছিল।
সে যাই হোক ভারত থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে এভাবে একজন সাংবাদিককে অপমান করতে পারে না চাইলে পুলিশ, প্রশাসনকে বুঝতে হবে সাংবাদিকরা হচ্ছে জাতির বিবেক একজন সাংবাদিককে লাঞ্ছিতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ রিয়াজ উদ্দিন রানা, এসময় তিনি বলেন একজন সাংবাদিককে অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে তাকে এভাবে লাঞ্ছিত করা প্রশাসনের মোটেও উচিত হয়নি।