নিউজ ডেস্কঃ
করনা ভাইরাসে আতঙ্কের মধ্যে নতুন করে শুরু হল ঘুনি ঝড়ের আতঙ্ক মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঘূর্ণিঝড় হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগে পরিপূর্ণ থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড়, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা, তীব্র কালবৈশাখী ঝড় ও তীব্র তাপপ্রবাহ (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে তাপমাত্রা) আঘাত করতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস। আজ রবিবার (৩ মে) এ মাসের দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে ২টি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে অন্তত একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানান। দেশের উত্তর থেকে মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত ২ থেকে ৩ দিন মাঝারি থেকে তীব্র বজ্রঝড় (কালবৈশাখী) এবং দেশের অন্যত্র ৩ থেকে ৪ দিন হালকা অথবা মাঝারি বজ্রঝড় (কালবৈশাখী) হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ মাসেই দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ১টি তীব্র তাপপ্রবাহ (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি) এবং অন্যত্র এক থেকে দুটি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) অথবা মাঝারি (৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
মে মাসে ভারী বৃষ্টিপাতজনিত কারণে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু কিছু স্থানে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলেও জানান আবহাওয়া অফিস। দেশের অন্যত্র প্রধান নদ-নদীগুলোর স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে বলেও জানিয়েছেন। এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আকস্মিক বন্যা সম্পর্কিত বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই থেকে নয় মে এই সাত দিন বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন ভারতের মেঘালয়, আসামের বরাক অববাহিকা ও ত্রিপুরার অনেক স্থানে ১৫০ থেকে ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতসহ কিছু স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সময়ে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোথাও বড় মাত্রার আকস্মিক বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে ভারী বৃষ্টিপাত পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে এই সাত দিনে বিশেষ করে সাত থেকে নয় মে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার সুরমা, কুশিয়ারা, সারিগোয়াইন, লুভাছড়া, যদুকাটা, ঝালুখালি, ভোগাই-কংস, সোমেশ্বরী, খোয়াই ও মনু নদীর পানি সময়বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে কেউ কেউ মনে করছেন বাড়ি বৃষ্টিপাত হলে কোন ভাইরাসের সংক্রমণ ধুয়েমুছে চলে যাবে।