
নিউজ ডেস্কঃ
২০১৭ সালে মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ১১ লক্ষ রোহিঙ্গার মধ্যে সবাইকে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাদের ভরণপোষণ খাদ্য সামগ্রী সহ সবকিছু সরকার বহন করছে, এমনতো অবস্থায় কিছু দালালের খপ্পরে পড়ে বিদেশ পাড়ি দেওয়ার জন্য সাগর পথে রওনা হন কিছু রোহিঙ্গা। এই অবস্থায় গেল ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি হয় ফলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সারা পৃথিবীতে। এমতাবস্থায় রোহিঙ্গাদের কোন দেশে আশ্রয় দিচ্ছে না। এটির একটি স্থায়ী সমাধান চায় জাতিসংঘের তিনটি সংস্থা। বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরে আবারও আশ্রয়প্রার্থী রোহিঙ্গা বোঝাই ‘নৌকা সংকট’
ঠেকাতে এই অঞ্চলের দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের তিনটি সংস্থা। সংস্থাগুলো হলো- জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণবিষয়ক দফতর (ইউএনওডিসি)।সম্প্রতি নতুন করে ওই সংকট সৃষ্টির আশঙ্কায় জাতিসংঘের এই তিন সংস্থা ৬ মে (বুধবার) ব্যাংককে এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানায়। এই বিবৃতিতে ভাসমান রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার কথা সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি।
গত ২৪ মে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে না পেরে প্রায় ৫০০ রোহিঙ্গা সাগরে ভাসতে থাকার খবর আসে। এরপর রোহিঙ্গা বোঝাই দুটি নৌকাকে আশ্রয় দিতে জাতিসংঘসহ পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। বাংলাদেশ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করা ও আশ্রয় দেয়ার দায়িত্ব শুধু বাংলাদেশের একার নয়।তারপর্র নতুন করে ভেসে আসা এই রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে আশ্রয় দেয়া হয়। এ বিষয়ে ৩ মে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাগো নিউজকে বলেন, ‘শুক্রবার রাতে ছোট ছোট ডিঙি নৌকায় করে বেশকিছু রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে দালালদের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। স্থানীয়দের মাধ্যমে কোস্টগার্ড তাদের আটক করে প্রথমবারের মতো ভাসানচরে পাঠানো হয়েছে।’