নিউজ ডেস্কঃ
বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাস বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তথ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রতি ২৪ ঘন্টায় আপডেট করা হয়। ঠিক বাংলাদেশ পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয় সেই ওয়েবসাইটে কিন্তু বাংলাদেশের যে তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে সেটি কি আসলে সঠিক ? গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্তকৃত ৬৩৬ জন নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৭৭০ জনে। আজ শনিবার (৯ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনলাইন হেলথ বুলেটিনে মোট করোনায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এমন বলা হলেও বিভাগভিত্তিক যে পরিসংখ্যান দেয়া হচ্ছে, তার সঙ্গে এ তথ্যে গরমিল দেখা যাচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বুলেটিনে বিভাগীয় পরিসংখ্যান তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, রাজধানীসহ ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় সর্বোচ্চ ৯ হাজার ১৭৭ জন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৭৬ জন, সিলেট বিভাগে ১৬৩ জন, রংপুর বিভাগে ২৬৩ জন, খুলনা বিভাগে ২১১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪০০ জন, বরিশাল বিভাগে ১৩০ জন এবং রাজশাহী বিভাগে ১৫৩ জন করোনায় শনাক্ত হয়েছেন।
বিভাগভিত্তিক করোনা শনাক্ত রোগীর যোগফল দাঁড়ায় ১১ হাজার ৭৩। সে হিসাবে দেখা যাচ্ছে, মোট সংখ্যার চেয়ে বিভাগভিত্তিক পরিসংখ্যানে ২ হাজার ৬৯৭ জন করোনা রোগী কম আছে সারাদেশে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে এলাকাভিত্তিক শতাংশের হিসাব তুলে ধরে বলা হয়, রাজধানী ঢাকায় ৫৮ দশমিক ২৮ শতাংশ, ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলা সব মিলিয়ে ২৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ, সিলেটে ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ, রংপুর ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ, খুলনা ২ শতাংশ,
ময়মনসিংহ ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ, বরিশাল ১ দশমিক ২৩ এবং রাজশাহীতে ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে আরো জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২১৪-এ। এছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন আরো ৩১৩ জন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ৪১৪ জন।