আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
প্লেবয়’ ট্যাগ সরিয়ে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খাঁন সংসারী হয়েছেন বহুদিন হলো। একটি-দুটি নয়, একেবারে তিনতি বিয়েই করেছেন এই কিংবদন্তি পাকিস্তান অধিনায়ক। কিন্তু পাকিস্তানের জনগনের মনে ইমরান খাঁনের পরের দুই স্ত্রী যেন এখনো থিতু হতে পারেনি। তাঁদের মনে এখনো ইমরান খাঁনের স্ত্রী মানেই জেমিমা গোল্ডস্মিথ। নিজের পিতৃপরিচয়েই এখন পরিচিত হলেও পাকিস্তানের মানুষের কাছে জেমিমা এখনো ‘খাঁন’! যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে নিয়মে শীথিলতা এনেছেন। সম্ভব হলে কাজে যেতে বলছেন। পার্ক খুলে দেওয়া হচ্ছে, বন্ধুদের সঙ্গে পার্কে আড্ডা দেওয়ার (দূরত্ব মেনে) পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ঘরের বাইরে ব্যায়াম করার জন্য একাধিকবার বের হওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার সুযোগও মিলছে! সাগরে কিংবা হ্রদে গিয়ে চাইলে সাঁতারও কাটাতে পারবে।বরিস জনসনের এমন সব সিদ্ধান্ত সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। শুরুতে করোনাভাইরাসকে পাত্তা না দিয়ে দেশটিতে সংক্রমণের হার বাড়ানোর দায় এমনিতেই জনসনের ওপর পড়েছিল। নতুন করে নেওয়া এসব সিদ্ধান্ত যুক্তরাজ্যে সংক্রমণ আরো বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মাঝে ঘরের বাইরে গিয়ে খেলার অনুমতিও দিয়েছেন জনসন। তবে শুধুমাত্র পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়ে ফাঁক রেখে এমন সব সিদ্ধান্তকে হাস্যরসের মাধ্যমে কটাক্ষ করতে চেয়েছিলেন জেমিমা।
টুইট করেছিলেন, ‘আবার ফুটবল আর ক্রিকেট খেলতে পারবে জেনে আমার ছেলে বড্ড স্বস্তি পেয়েছে… কিন্তু সেটা শুধু আমার সঙ্গে।’ ইমরান খাঁন ও জেমিমার ২ পুত্র কাসিম ও সুলাইমানের বয়স ২১ ও ২৩ বছর। ফলে খোঁচাটা বুঝতে কারও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।কিন্তু ইমরান খাঁনের ভক্তরা সেটা বুঝতে যাবেন কেন? সবাই ইমরান খাঁন ও জেমিমার পুরোনো সব ছবি নিয়ে হামলে পড়েছেন। একের পর এক কমেন্ট করছেন। কেউ আবার আশা প্রকাশ করছেন, আবার সম্পর্কে জড়াবেন এই দুজন, আবার পাকিস্তানে ফিরবেন তাঁদের প্রিয় জেমিমা। কেউ কেউ আবার সমালোচনা করছেন, ইমরান খাঁন থাকতে কেন জেমিমার সন্তানদের ক্রিকেট খেলা নিয়ে চিন্তা করতে হবে!
ইমরান খাঁন বিশাল বাড়িতে যে চাইলে ক্রিকেট আর ফুটবল আরামসে খেলা যাবে, সেটাও বলেছেন অনেক। এর মাঝেই নিজের ‘জ্ঞান’ ফলাতে গিয়েছিলেন আমির মতীন নামের এক সাংবাদিক। লিখেছেন, ‘দুঃখজনক। ওর (জেমিমার ছেলে) স্বাভাবিক জীবন পাওয়া উচিত এবং নিজের আগ্রহ নিয়ে থাকতে দেওয়া উচিত।’ যা বোঝাতে চেয়েছেন সেটা না বুঝে পুরো উল্টো জিনিস বোঝায় এর প্রতিউত্তরে জেমিমা লিখেছেন, ‘দেখে আনন্দ পেলাম, কিছু মানুষ (পাকিস্তানের) আমার টুইট দেখে মনে করেছে আমাকে অতিমাত্রায় রক্ষণশীল ও ছেলেদের ব্যাপারে বেশি নাক গলানো মা বলে ধরে নিয়েছেন।’জেমিমার এই রিটুইটের পর পাকিস্তানেরই সচেতন মানুষেরা আমির মতীনের সমালোচনায় মেতেছেন।
১জন বলেছেন, ‘আমি ঠিক বুঝি না আমাদের সংবাদমাধ্যমের লোকজন কেন প্রতিনিয়ত অপমানিত হতে যায়। দুঃখজনক।’ আরেক টুইটার ব্যবহারকারী বলেছেন, ‘আপনি না সাংবাদিক? এ কারণেই তো আমাদের দেশের সংবাদমাধ্যমের এত বাজে অবস্থা।’ আরেকজন বলেছেন, একটু জেনেশুনে তারপর মানুষের টুইটে কথা বলতে, ‘কোনো ধারণা আছে কেন জেমিমা এই টুইট করেছেন? কারণ বরিস বলেছেন শুধু ঘরের লোকজনের সঙ্গে খেলা যাবে। সবকিছু জেনে তারপর আপনার ওই মুখ খুলবেন এর পর থেকে।’ অবশ্য অধিকাংশ পাকিস্তানি এই রিটুইটেও জেমিমার সত্যিকারের একজন পাকিস্তানি মায়ের মতো ছেলেদের ‘কড়া নজরে রাখার’ ক্ষমতায় মুগ্ধ হয়েছেন!