লাখ টাকার মোবাইল হাজার টাকায় বিক্রি!
আল ওমায়ের | অজানা বাংলাদেশ।
চট্টগ্রাম: ফেসবুকে পেজ খুলে সেখানে পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতিনিয়ত অহরহ মানুষকে প্রতারণার জালে আটকানো হচ্ছে। সেখানে বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল কম দামে বিক্রি করে। লাখ টাকার মোবাইল হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। ফেসবুক পেজে বুস্ট করে সবাইকে মোবাইলের ছবিগুলো দেখিয়ে মানুষকে লোভে ফেলা হয় ফাঁদে আটকানো হয়। আজ সকালে প্রতারণার শিকার হয়েছেন চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার বাসিন্দা, তিনি তার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। ভুক্তভোগী আজ অজানা বাংলাদেশ কে জানিয়েছেন ফেসবুকে Galaxy Bazar.com নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে তিনি তার পছন্দ অনুযায়ী মোবাইল ফোন অর্ডার করেন। অর্ডার করার পরে
তারা প্রথমে ১৫০ টাকা বিকাশ করে নিশ্চয়তা ফি নিয়েছে, তারপরের দিন (আজ) তার এলাকার পার্শবর্তী কুরিয়ার শাখা এস.এ পরিবহন কুরিয়ার সার্ভিস থেকে মোবাইলটি সংগ্রহ করার জন্য ফোন দেয়া হয়। কুরিয়ার সার্ভিসে যাওয়ার পরে ৪৭০০ টাকা মোবাইল বাবদ কুরিয়ার সার্ভিস বুঝে নেন তারপর গ্রাহককে চালান বুঝায় দেন। গ্রাহক অতি আগ্রহের সাথে চালানটি সেখানে খুলে দেখলে সেখানে দেখতে পান তার অর্ডার অনুযায়ী তার মোবাইলটি আসেনি, তিনি সঙ্গে সঙ্গে এস.এ পরিবহন কুরিয়ার সার্ভিসে দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে জানালে তিনি বলেন আমাদের কাজ পণ্য আদান প্রদান করা আর আমরা সেটার জন্য দুই পক্ষ থেকে চার্জ নিই, পণ্য বুঝিয়ে দেয়ার পর আমাদের আর কোনো দায়িত্ব নাই, তাছাড়া চালানে কি থাকে তা আমরা নিজেরাও জানিনা। তারপর ভুক্তভোগী আবার সে পেজে অর্ডার করা নাম্বারটিতে কল দেই, তারা কল ধরে তার নাম জানার পরে তার কলটি কেটে দিয়ে তার নাম্বারটি ব্লক করে দেই। অতপর তিনি আরেকটি নাম্বার থেকে ফোন দিলে সেই নাম্বারটিও ব্লক করে দেওয়া হয় এবং ফেসবুক পেজ থেকে তার আইডিটাকেও ব্লক করে দেয়া হয় যাতে তিনি তাদের প্রতারণার কাজগুলি তাদের পেজে সকলের সামনে তুলে ধরতে না পারে। তখন তিনি বুঝতে পেরেছিল তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন, তিনি আরও জানিয়েছেন শুধু তিনি একা নয় তিনি আজ জানতে পেরেছেন তার পরিচিতদের মধ্যে আরও অনেকে হয়েছে এমন প্রতারণার শিকার। তিনি আরও বলেছেন অনেকে তার মধ্যে মোবইলের পরিবর্তে খালি প্যাকেট, সাবান,
লোহার টুকরা ইত্যাদি পেয়েছেন। এবং তারা মানুষের বিশ্বস্ততা পাওয়ার জন্য মানুষকে বলে বেড়ায় তাদের নিজস্ব শোরুম রয়েছে ঢাকা সাভারে, এবং মানুষকে লোভে ফেলানোর জন্য বলে মোবাইলের সাথে পাওয়ার ব্যাংক, স্পিকার, ব্লুটুথ ইত্যাদি ফ্রী দিবেন, সাথে বলে দেই ছয় মাসের মধ্যে মোবাইলের সমস্যা দেখা দিলে সাথে সাথে টাকা ফেরত। এরপরে দুই বছরের মধ্যে কোনো সমস্যা দেখা দিলে তারা ফ্রি সার্ভিস দিয়ে ঠিক করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন। শেষমেশ ভুক্তভোগী বলেছেন আর কত মানুষ এভাবে ঠকবে? এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছেনা কেনো? তারা ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিভাবে সকলের সামনে প্রতিনিয়ত দিনের পর দিন মানুষকে এভাবে প্রতারণার ফাঁদে ফেলছে?
ভুক্তভোগী আরো বলেন আমার বিশ্বাস আশাকরি প্রশাসন এটাকে ক্ষুদ্র সমস্যা হিসেবে না নিয়ে এটাকে বড় সমস্যা হিসেবে দেখে তারা তাদের পদক্ষেপ নিবেন।