বর্তমান বিশ্বের সংকটাপন্ন মুহূর্তে পরিবারের জন্য দু’বেলা অন্য যোগাড় করার সুযোগ হরণ করল এই করোনা ভাইরাস নামক মহামারী। চিন্তা করে দেখুন তো নগরীতে দৈনন্দিন হাজার হাজার মানুষের চলাচল, চব্বিশ ঘণ্টা খাবারের হোটেল খোলা থাকতো, এখন তো সব বন্ধ, পকেটে টাকা থাকলেও খাবার কিনে খেতে পারছে না, এর মধো ভাল মানুষ রোজাদার তো আছে তাদের কি অবস্থা হচ্ছে সবকিছু চিন্তা করে দুঃস্থ পীড়িত ও আত্ম-মানবতার সেবায় নিয়োজিত আল-হাসনাইন মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন কতৃর্ক সে মেহমানদের জন্য প্রতিদিন রান্না করা খাবারের আয়োজন। আসন্ন ঈদুল ফিতর কে কেন্দ্র করে অনেকের নূন্যতম আয় নেই, গলায় গলায় কর্য, ধার দেবার মত অনেকের মানুষ নেই,
লকডাউনে মানবেতর জীবন যাপন করছে একটি দিন তাদের জন্য এক সপ্তাহ কিংবা এক মাসের মত। সবকিছু মিলিয়ে ঈদুল ফিতরের আনন্দও মাটি হবার পথে। কারণ পরিবারের ছোট বাচ্ছারা করোনা বুঝবেনা, তারা বলবে ঈদের নতুন জামা কাপড়। এতে অনেক মা বাবা সে মুহুর্তে সন্তানের কাছে লজ্জিত হয়ে যাবে। তাই মন ভরে দান যত করবেন আল্লাহ আপনার ধনদৌলতে তত বরকত দিবেন। তাই আসুন এই মহা বিপদে যার যার অবস্থান থেকে পাশের প্রতিবেশিকে সর্বাত্মক সহযোগীতায় এগিয়ে আসি। একে অপরকে উৎসাহিত করি।
গত ১৯ মে, মঙ্গলবার, নগরীর শহর কুতুব হযরত আমানত শাহ( রহঃ) মাজার প্রাঙ্গনে আল-হাসনাইন মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের উদ্যাগে করোনায় অসহায় ভাসমান মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন, হযরত আমানত শাহ (রহঃ) মাজারের আওলাদ শাহসূফী বেলায়ত উল্লাহ খান, জাতীয় মাজার দরগাহ সংস্কার-সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ রেজাউল করিম তালুকদার, বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মুহাম্মদ জাফর আলম সিদ্দিকী, মাওলানা হেলাল চিশতী, ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের প্রচার সম্পাদক আরাফাত হোসেন, বদিউল আলম, গোলাম ইয়াছিন, ইউসুফ প্রমূখ।