
বাংলাদেশের খুলনা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিচ্ছে। এ কারণে আবহাওয়া অধিদফতরের
বাংলাদেশের উপকূলীয় স্থানগুলোতে ৪ নম্বর সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে
এ সময় নিরাপদ দূরত্বে ছোট ছোট নৌকা লোকগুলোকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে বলা হয়েছে
বাংলাদেশের খুলনা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিচ্ছে। এ কারণে আবহাওয়া অধিদফতরের পক্ষ থেকে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মাহমুদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে বলেন, ‘মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত তীব্র ঘূর্ণিঝড় তিতলি আরও শক্তিশালী হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে যাচ্ছে। এটি আরও কিছুটা উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে এখন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টি খুব ধীরে ধীরে আগাচ্ছে। এটি আরও শক্তি সঞ্চয় করে হয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে যাচ্ছে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ভূ-ভাগে আঘাত হানতে পারে। এখন পর্যন্ত যে গতিপথ তাতে এটি ভারতের উরিষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গে এবং বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপ আকারে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে অতিক্রম করবে। এ কারণে চট্টগ্রামসহ দেশের উপকুলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের ১০ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে সামান্য অগ্রসর একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ (বুধবার) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৪৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯০০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
বুলেটিনে আরও বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৬৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টা ৯০ কিমি যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১০০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
পশ্চিম মধ্যো বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত প্রবল ঘূর্ণিঝড় তিতলি সামান্য কিছুটা উত্তরে অগ্রসহ হয়ে শক্তিশালি হয়ে ক্যাটাগরি ১ ক্ষমতা সম্পন্ন ঘূর্ণিঝড়ে পরিনত হয়েছে।
নাম : ঘূর্ণিঝড় তিতলি
ক্যাটাগরি : ১
গড় গতিবেগ : ১২০ কিলোমিটার
সর্বোচ্চ গতিবেগ : ১৫০ কিলোমিটার
গতিপথ : উত্তর উত্তর পশ্চিম দিকে।
সম্ভাব্য ইমপেক্ট স্থান : উড়িস্যা ৫০%, ওয়েস্ট বেঙ্গল ২৫% খুলনা উপকূল ২৫%
দূরত্ব : মংলা থেকে ৭৩৪ কিলোমিটার দক্ষিন পশ্চিমে।
সম্ভাব্য ক্যাটাগরি : ২
বাংলাদেশ উপকূলে বিপদের সম্ভাবনা : ১২ ও ১৩ ই অক্টবর।
সতর্ক সংকেত : ৪