নিউজ ডেস্কঃ
গণপরিবহনের বর্ধিত ভাড়া কমাতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা পরিষদ (ডিএফসি) নামের একটি সংগঠন। এই সময়ের মধ্যে ভাড়া না কমালে আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে সংগঠনটির নেতারা।আজ রবিবার (৩১ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানান তারা।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বড় দুর্নীতি খাতের একটি হচ্ছে পরিবহন খাত। যেখানে জনগণ জিম্মি হয়ে রয়েছেন। কারণে-অকারণে কেবল পরিবহন ভাড়া বাড়তেই থাকে। একবার বাড়লে আর কমার কোনো নজির নেই বাংলাদেশে।
বারবার পরিবহন ভাড়া বাড়লেও শ্রমিকদেরও কোনো বেতন-ভাতা বাড়তেও দেখা যায়নি।এতে আরো বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে যেখানে আজ তেলের দাম অনেক নিম্নমুখী। সেখানে পরিবহন ভাড়া বাড়ার কোনো মানেই হয় না। করোনাভাইরাসের বিপর্যয়ে একদিকে মানুষের কাছে আজ অর্থ এবং খাদ্যের হাহাকার অন্যদিকে সাধারণ জনগণের ওপর বারবার এমন অমানবিক গণপরিবহন ভাড়া নির্ধারণ সংগঠনের নেতারা আরও বলেন বিশ্ব ভাজ্ঞারাজ মন্দা সরকার চাইলে তেলের দাম কমিয়ে দিয়ে গণপরিবহনের ভাড়া আগের মতো বহাল রাখতে পারতো কিন্তু সরকার তা না করে এত বড় একটা বোঝা জনগণের উপর চাপিয়ে দিয়েছে।
তাদের দাবি, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যদি সরকার জন-বিপক্ষ সিদ্ধান্ত বাতিল না করে এবং ন্যায্য ভাড়া নির্ধারণ না করে তবে জনগণের পক্ষে প্রতিবাদে নামবে ডিএফসি।উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংকটে অফিস খোলা ও গণপরিবহন সীমিত আকারে চলাচলের সরকারি সিদ্ধান্তের পর বাসের ভাড়া ৮০ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।বিআরটিএর ভাড়া বাড়ানোর সুপারিশের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়।
বিআরটিএর সুপারিশকে গণবিরোধী উল্লেখ করে বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদ জানায়।এমন সমালোচনার মধ্যেই আজ রবিবার (৩১ মে) বিআরটিএর সুপারিশের মাত্র ২০ শতাংশ কমিয়ে অর্থাৎ গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। যা আগামীকাল সোমবার থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে।