নিউজ ডেস্কঃ
প্রাণঘাতী মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সারিয়ে তুলতে এবার চট্টগ্রামের সাগরিকায় অবস্থিত জহুর আহমদে স্টেডিয়ামকে আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এটিই প্রথম দেশের মধ্যে বৃহৎ কোনও স্থাপনায় আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে রাখা হবে বিদেশ ফেরত যাত্রীদের প্রবাসীরা দেশে আসলে বিমানবন্দর থেকে তাদের সরাসরি এই স্টেডিয়ামে ১৪ দিনের জন্য আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে থাকবে।
বৃহস্পতিবার ৪ জুনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৬৬৯ জন। এরই মধ্যে বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টার হাসপাতালে আইসোলেশন সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে। বেশ কটি বেসরকারি হাসপাতালকেও ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার।তবে বিশ্বের অন্য করোনা আক্রান্ত দেশগুলোর মত এই প্রথম কোনও স্টেডিয়ামকে আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তাও আবার বন্দর নগরী চট্টগ্রামে অবস্থিত ক্রিকেটর পয়মন্ত ভেন্যু সাগরিকার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামকে।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সাগরিকা স্টেডিয়ামের কর্পোরেট বক্সগুলোকেই আপাতত আইসোলেশন সেন্টারের জন্য বরাদ্দ দেবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। বিদেশ ফেরত যাত্রীদের এখানে রাখা হবে।বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির ম্যানেজার আব্দুল বাতেন বলেছেন, বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান অনেক আগেই বলে রেখেছেন করোনা-সংকট মোকাবিলায় যদি ক্রিকেটের দুই মূল ভেন্যু শেরেবাংলা ও জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের দরকার পড়ে তা দিয়ে দেওয়া হবে। তারই ধারাবাহিকতায় এখন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আইসোলেশন ব্যবস্থার কথা জানানো হয়েছে।