নিজস্ব প্রতিবেদন। অজানা বাংলাদেশ।
ভর্তিবৈষম্যের শিক্ষার হচ্ছেন মাদরাসা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা। কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই বিভাগ-বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দোহাই দিয়ে ডিন বিভাগ আরো বৈষম্য বাড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে অন্যায়ের আশ্রয় নিয়ে নিয়ম ও মেধার অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত কলা ও মানবিক অনুষদের ফলাফল বিশ্লেষণ করে জানা যায়, কলা ও মানবিক অনুষদে ভর্তির ক্ষেত্রে ‘বিজ্ঞান’, ‘মানবিক’, ব্যবসা শিক্ষা ও মাদরাসা ও কারিগরি নামে চার ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। কিন্তু মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম বা এইচএসসি পাস করে আসা বিজ্ঞান বিভাগ ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের ‘বিজ্ঞান’ ও ‘মানবিকে’ অন্তর্ভুক্ত না করে তাদেরকে আলাদা করা হয়। সেখানে অনুষদের মোট ৩৩৭টি আসনের মধ্যে ১৩টি আসন দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে আগ থেকে বৈষম্যের প্রশ্ন উঠলে কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোজাম্মেল হক আশ্বস্ত করেন, ‘এ পরীক্ষা থেকে আর কোনো বৈষম্য থাকবে না, মাদরাসার মানবিককে মানবিক শাখার অন্তভুক্ত করেই রেজাল্ট প্রকাশ করা হবে। কিন্তু এখন আবারো বিভাগের দোহাই দেয়া হচ্ছে।’ অন্য দিকে কলা অনুষদভুক্ত কয়েকটি বিভাগের চেয়ারম্যান বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ডিনের দায়িত্ব হচ্ছে ভর্তিতে কোথায়ও অসঙ্গতি অন্যায় বৈষম্য হচ্ছে কি না তা দেখা। কিন্তু মাদরাসা শিক্ষার্থীরা মানবিক শাখার সব শর্ত পূরণের পর হাইকোর্টের আদেশের ভিত্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে কোনো বাধা নেই। এ বিষয়টি আমাদের বিভাগকে কোনো নোটিশ দিয়ে অবহিত বা সতর্ক করা হয়নি। ফলে বিভাগও আগের নিয়মে চলছে।