বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব মাওলানা এম.এ.মতিন সরকার ঘোষিত বাজেটকে দূর্নীতি ও অনিয়মের সুযোগ সৃষ্টির বাজেট আখ্যায়িত করে বলেন, সরকারের ঘোষিত ২০২০-২০২১ সালের এ বাজেট অংকে বড় হলেও জন আকাঙ্খার পুরোপুরি প্রতিফলন ঘটবে না। কারণ দেশের সচেতন নাগরিক ও সাধারণ জনগণ আশা করেছিলেন সরকার দেশের ভঙ্গুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে এবং করোনার কারণে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া শিক্ষা ব্যবস্থাকে সচল করতে জিডিপির ৫ থেকে ৬ শতাংশ বরাদ্দ রাখবে,
কিন্তু যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা শুভাঙ্করের ফাঁকি বৈ কিছুই নয়। বিশেষ করে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও সংস্কারের খাত চিহ্নিত করে বরাদ্দ না দিয়ে বরং থোক বরাদ্দ ব্যায়ের ক্ষেত্রে অনিয়মকে প্রশ্রয় দেয়া হবে। এছাড়া অপ্রদর্শিত ও অবৈধ টাকা সাদা করার যে সুযোগ রাখা হয়েছে তাতে সরকারের সুশান প্রতিষ্ঠা ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ করবে। মহাসচিব এম.এ.মতিন আবশ্যই খাদ্য,
সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দসহ বিদেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্যের দাম বৃদ্ধিসহ কৃষি ও দেশীয় শিল্প উন্নয়নের জন্য বিশেষ প্রণোদনার প্রশংসা করেন। এম.এ.মতিন তার বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বাজেট যায় হোক, সুশাসন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা না গেলে এর সুফল জনগণ পাবেনা বলে মত দেন। এই সাথে তিনি রাজস্ব না বাড়িয়ে ব্যক্তি খাতে আয়ের তিন লাখের মধ্যে কর ধার্য্য করণ ও রাজস্ব আয়ের নতুন খাত সৃষ্টির প্রয়াসকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে এক্ষেত্রে রাজস্ব আয় ও পণ্য মূল্যে মুসক নির্ধারণে জনগণ ও ব্যবসায়ীদের সক্ষমতা ও সহজতর করার আহবান জানান সরকারের কাছে ।