
ছাতক প্রতিনিধি::
ট্রাফিক ও হাইওয়েল পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধ ভাবে সিলেট সুনামগঞ্জের গোবিন্দগঞ্জ-ছাতক সড়কে মাসোহারা টোকেন দিয়ে একটি চত্রু দীঘদিন ধরেই লাখ লাখ টাকা টোকেন দিয়ে দুই শতাধিক ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা রিকসা চালকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ অবৈধ টোকেন দিয়ে চালকদের কাছ থেকে প্রতিমাসে ৮০হাজার টাকা করে মার্চ থেকে জুন পযন্ত ৪ মাসে প্রায় তিন লাখ ২০হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার গোপন খরর পেয়ে ছাতক থানার পুলিশ গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে ৬টি অবৈধ টোকেনসহ ২ চালককে গত ২৭ জুলাই বিকালে মাসুক মিয়া (৫০)
টোকেন ক্যাশিয়ার সেলিম আহমদ রিকসার চালককে আটক করে থানায় নেয়া হয়। সে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের দিঘলী চাকলপাড়া গ্রামের মৃত ফরজন্দ আলীর পুত্র। ২৭ জুলাই সন্ধ্যায় গোবিন্দগঞ্জ এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করেন পুলিশ। ওইদিন রাতেই আটককৃতকে প্রধান আসামী করে সেলিমসহ ৬জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা (নং-৩২) দায়ের করেন। মাসুক মিয়াকে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ২৮জুলাই সকালে ক্যাশিয়ার সেলিম আহমদ রিকসা চালককে রহস্যজনক ভাবে পুলিশ এক জন ছেড়ে দিয়ে ও মাসুককে সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করার এঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় ভয়-ভীতি দেখিয়ে ব্যাটারী চালিত অটোরিকশায় টোকেন দিয়ে চাঁদাবাজি চলছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৭ জুলাই বিকেলে থানার এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএম এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে মাসুক মিয়া ও টোকেন ক্যাশিয়ার সেলিম আহমদ রিক্সা চালক কে আটক করতে সক্ষম হন। এসময় তার কাছ থেকে ৬টি চাঁদাবাজির টোকেনসহ অবৈধ ভাবে উত্তোলনকৃত নগদ এক হাজার ৬শ’ টাকা জব্দ করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যান্য চাঁদাবাজরা গাঁ ঢাকা দেয়।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী, থানার এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএম বলেন, উদ্ধারকৃত প্রতিটি টোকেনে সেলিম নামের এক ব্যক্তির স্বাক্ষরসহ মাসের মেয়াদ ও নির্দিষ্ট একটি তারিখ উল্লেখ আছে। চাঁদাবাজরা প্রতিটি ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা থেকে মাসে ৪শ’ টাকা করে আদায় করতো। থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মঈন উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নৌ-পথ ও সড়ক পথে অবৈধ চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে পুলিশ। চাঁদাবাজদের আইনের আওতায় নিতে নিয়মিত পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।