ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের ছাতকে রেলওয়ে গোডাউনের নিরাপত্তা প্রহরী ফখরুল আলম হত্যার ঘটনায় মমিন মিয়া (৩৫) নামের আরেক আসামীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় ছাতক কোর্ট রাস্তা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএম। মঙ্গলবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সে উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও গ্রামের তরমুজ আলীর পুত্র। তার বিরুদ্ধে একাধিক চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি মামলা রয়েছে। এছাড়া একটি ছিনতাই মামলায় সে সাজাভোগ করেছে তিন বছর। এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর ফখরুল হত্যা মামলার ৫জন আসামী গ্রেফতার হয়।
গত ৭ জুলাই উপজেলার জয়নগর গ্রাম থেকে চাঞ্চল্যকর ফখরুল হত্যার সাথে জড়িত চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইসহ ৯টি মামলার আসামী নুর আলী গ্রেফতার হয়। তার স্বীকারোক্তিতে পরদিন সিলেটে শহরের চাঁদনীঘাট এলাকা থেকে রেলওয়ের মালামাল ক্রয়-বিক্রয় ও হেফাজতে রাখার অভিযোগে মিল্লাদ ও পরান মিয়া নামের আরো দু’জনকে গ্রেফতার করেন, এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএম। এসময় রেলওয়ের চোরাইকৃত মুল্যবান মালামালও উদ্ধার করেন।
এর মধ্যে গুলজার আহমদ গুঞ্জর নামের আরেক আসামী গ্রেফতার হয় চৌকস এ পুলিশ অফিসারের হাতে। গ্রেফতারকৃতরা ফখরুল হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাবিবুর রহহমান পিপিএম জানিয়েছেন।প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুন রাতে ছাতক রেলওয়ের বিআর গোডাউনের তালাবদ্ধ মুল গেটের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে দায়িত্বে থাকা নৈশ প্রহরী ফখরুল আলমকে নির্মম ভাবে খুন করে রেলের লৌহ জাতীয় মুল্যবান মালামাল নিয়ে যায় অজ্ঞাত দূষকৃতিরা। পর দিন ৩০ জুন নিহতের স্ত্রী নুরতাজ বেগম বাদী হয়ে ছাতক থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-২৩) দায়ের করেন।