
নিউজ ডেস্কঃ
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক জনাব খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, দায়িত্বের কারণে কর্পোরেশন ও জনস্বার্থে আমাকে অনেক সময় কঠোর অবস্থান নিতে হয়েছে। এজন্য নগরবাসী আশা করি আমাকে ভুল বুঝবেন না আমি দায়িত্বের কারণে কঠোর হতে বাধ্য হয়েছি।গতকাল সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বেপারী পাড়ার আগ্রাবাদ সিটি কর্পোরেশন কমপ্লেক্স চত্বরে রাজস্ব সার্কেল-৭ এর স্পট হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমার শৈশব-কৈশোর, যৌবন কেটেছে এই শহরে। কাজেই আমার কাজের মূল্যায়নের ভার নগরবাসীর হাতে। কিছু পেতে গেলে কিছু দিতে হয়। কাজেই সেবা পেতে পৌরকর দিন ও ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করে ফেলুন।
প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, নগরবাসীর ভালোবাসা আমাকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছে।প্রশাসকের দায়িত্ব নেওয়ার পর নগরবাসী আমাকে যে মায়া-মমতার বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন তা কখনও আমি শোধ করতে পারব না।
খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, শহরের মালিক নগরীর ৬০ লক্ষ অধিবাসী। নাগরিকদের অধিকার রয়েছে চসিকের সেবা পাওয়ার। আমি চেষ্টা করেছি নগরকে পরিচ্ছন্ন, মানবিক ও পরিবেশবন্ধব রাখতে। বাজার খরচ, বিদ্যুৎ-পানি পেতে বিল দিতে হয়। তাহলে পৌরকর ছাড়া কীভাবে নাগরিক সেবা দেওয়া সম্ভব? করপোরেশন কোনো ধরনের কর বাড়ায়নি। পূর্বের রেটে পৌর কর নিচ্ছে। ডিসেম্বর মাসজুড়ে সারচার্জ ছাড়া পৌরকর ও ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া যাবে। আশা করি নগরবাসী ও ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ গ্রহণ করবেন।
প্রশাসক নগরীর উন্নয়নের স্বার্থে বন্দর, কাস্টমস্, রেলওয়েসহ অন্যান্য বড় শিল্প কারখানার কাছ থেকে ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ দাবি করে বলেন, কাস্টমস চট্টগ্রাম শহর থেকে বছরে ৫০-৬০ হাজার কোটি টাকার আয় করে। বন্দরেও হাজার হাজার কোটি টাকা আয়। অপরদিকে নগরের বেশিরভাগ জায়গা রেলের দখলে। অধিগ্রহণ ও লিজের নামে এসব জায়গা বছরের পর বছর দখলে রেখে কোনো উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে না। আর তাদের এসব জায়গা জমির অনেকগুলোই এখন গুন্ডা-মাস্তানদের দখলে।
তিনি বলেন, কর্পোরেশন রেলের একটি জায়গা নিতে দুটো ইনস্টলমেন্ট পরিশোধ ও উচ্চ আদালতের রায় পাওয়ার পরও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এখনও তা বুঝিয়ে দিচ্ছে না। এভাবে চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই শহরের উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছেন। যে কারণে এখানে ট্যানেল, উড়ালসেতু, শিল্প জোনসহ বিবিধ উন্নয়ন হচ্ছে। এরপরও নগরীর উন্নয়নে যারা বাধা হয়ে দাঁড়াবে তাদের আমরা প্রতিহত করব। তিনি নগরের উন্নয়নের স্বার্থে যেকোনো সংস্থাকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলেও উল্লেখ করেন।
চসিকের রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা ফাতেমা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন কর কর্মকর্তা (কর) জসীম উদ্দীন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে কাউন্সিলর প্রার্থী মোহম্মদ হোসেন, জাফরুল হায়দার সবুজ, উপ-কর কর্মকর্তা (লাইসেন্স) কৃষ্ণ প্রসাদ দাশ উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ, এদিন (সোমবার) প্রথম দিনে স্পটে হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ ২৫ লাখ ২১ হাজার ৫৩৬ টাকা ও ট্রেড লাইসেন্স বাবদে ৮ লাখ ১৮ হাজার ৪৫০ টাকা আদায় হয়েছেন।