
নিউজ ডেস্কঃ
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ শুনেই আমরা রণাঙ্গনে গিয়েছিলাম, অস্ত্র হাতে হানাদার বাহিনীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। ৭ মার্চের ভাষণের প্রতিটি শব্দ ও বাক্য ছিল একটি পরিকল্পিত জনযুদ্ধের নির্দেশনা। আমাদের জন্য ছিল যুদ্ধজয়ের মন্ত্র।’আজ রোববার (৭ মার্চ) সকালে নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন উপলক্ষে চট্টগ্রাম কর্পোরেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় মেয়র এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে কৌশলগত নির্দেশনা অভিহিত করে সিটি মেয়র বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের একটি কৌশলগত নির্দেশনা। অনেকে বলেন, বঙ্গবন্ধু সরাসরি স্বাধীনতা ঘোষণা করেননি কেন? এর উত্তর হলো, বঙ্গবন্ধু একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তিনি যদি ৭ মার্চ সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা করতেন তাহলে পাকিস্তানিরা তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে চিহ্নিত করত। ৭ মার্চ রেসকোর্সে পাকিস্তানি বাহিনী বোমা হামলা চালিয়ে ও ঢাকা নগরীকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে লাখ লাখ বাঙালিকে হত্যা করত।’‘তিনি তার ভাষণে জনগণকে কোনো ধরনের ট্যাক্স দিতে নিষেধ করেছিলেন। সেনাবাহিনীর গুলিতে মানুষ হত্যার বিচার দাবি করেছিলেন। এছাড়া সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। ভাষণটি শেষ করেছিলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, বাক্যগুলো উচ্চারণ করে। তাহলে আমরা বলতে পারি এই ভাষণে বাকিটা আর কিইবা থাকতে পারে।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী আরও বলেন, ‘৭৫’র ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর এই ভাষণটি নিষিদ্ধ ছিল। এমনকি বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করাটাও কঠিন ছিল। দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশ পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত হওয়ায় মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিসর্জন দেয়া হয়েছিল।’মেয়র ‘জয় বাংলাকে’ জাতীয় স্লোগান আখ্যায়িত করে বলেন, ‘জয় বাংলা আওয়ামী লীগের স্লোগান নয়, ছাত্রলীগের নিউক্লিয়াসপন্থীদের স্লোগান। পরে এই স্লোগানটি বঙ্গবন্ধু দিয়েছেন। এই স্লোগানের জনক বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। এ কারণে মহান মুক্তিযুদ্ধে জয় বাংলা স্লোগান ছিল প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার প্রাণস্পন্দন।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী আরও বলেন, ‘৭৫’র ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর এই ভাষণটি নিষিদ্ধ ছিল। এমনকি বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করাটাও কঠিন ছিল। দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশ পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত হওয়ায় মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিসর্জন দেয়া হয়েছিল।’মেয়র ‘জয় বাংলাকে’ জাতীয় স্লোগান আখ্যায়িত করে বলেন, ‘জয় বাংলা আওয়ামী লীগের স্লোগান নয়, ছাত্রলীগের নিউক্লিয়াসপন্থীদের স্লোগান। পরে এই স্লোগানটি বঙ্গবন্ধু দিয়েছেন। এই স্লোগানের জনক বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। এ কারণে মহান মুক্তিযুদ্ধে জয় বাংলা স্লোগান ছিল প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার প্রাণস্পন্দন।’