
আরিফুল ইসলাম সুমন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে।।
কেউ ডাকেন ভাই, কেউ চাচা, কেউ মামা, আবার
কেউবা লিডার। এলাকার নানা শ্রেণী পেশার মানুষের অতি আপনজন, তাদের জীবন চলার সঙ্গী এ মানুষটি। তাঁকে ছাড়া যেন অস্বস্তি বিশেষ করে এলাকার সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের।
পারিবারিক ও সামাজিক সহ নানা বিষয়ক পরামর্শ এবং সেবা দেন তিনি। যেকারণে সবার আপনজন হয়ে উঠেছেন তিনি। মানুষটির নাম এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
জাতীয় সংসদের ২৪৪ নং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্বরত তিনি। সরাইল উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কালীকচ্ছ গ্রামে তাঁর বাড়ি।
এ আসনের টানা দুইবারের নির্বাচিত এবং সফল সংসদ সদস্য তিনি। যেকোনো সমস্যা নিয়ে তাঁর কাছে গেলে, রাত যত গভীর-ই হোক ঘরের দরজা খোলা। নেই ক্লান্তি, সমস্যা ছোট হোক বা বড় পুরো বিষয়টি আগে শুনে নেন ধৈর্য্য সহকারে। এ মানুষটিকে ছাড়া যেন এলাকার সাধারণ মানুষদের চলেই না। তেমনই এলাকার সুশীল সমাজ দিয়েছে তাঁকে ভালো কাজের স্বীকৃতি। এখানকার প্রথমসারির কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় তাঁর সু-নির্দেশনায়। এছাড়াও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সু-পরিচালনা ও উন্নয়নে তাঁর অনবদ্য ভূমিকা সর্ব মহলে প্রশংসনীয়।
এলাকার নারী-পুরুষ অনেকের দাবি, জিয়াউল হক মৃধাকে সংসদ সদস্য হিসেবে পেয়ে তারা প্রকৃত এমপি’র স্বাদ পেয়েছেন। যেকোনো পরিবেশে এলাকার মানুষ তাঁর কাছে মন খুলে কথা বলতে যেতে পারেন, যা অন্য কোন জনপ্রতিনিধির কাছে এ সুবিধা পাওয়া দুস্কর। একজন সংসদ সদস্য হয়েও তিনি বেশিরভাগ সময় কাটান এলাকায় তথা গ্রামের বাড়িতে। পুলিশি নিরাপত্তায় তিনি চলাচলের সময়েও সড়কে গাড়ি থামিয়ে মানুষ তাঁর কাছে সমস্যার কথা জানাতে পারেন নির্বিঘ্নে। মাঝে মধ্যে তিনি গ্রামের রাস্তায় লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় সাদামাটাভাবে হাটাহাটি করেন এবং সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের ঘরবাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজখবর নেন তিনি, একজন এমপি হিসেবে তা নজির বিহীন।
তিনি একজন অভিভাবকের মত এলাকার সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের পাশে থাকেন।
একজন সফল জনপ্রতিনিধি হিসেবে আইনজীবী জিয়াউল হক মৃধা প্রায়ই বলে থাকেন, সেবা-ই ধর্ম সেবা-ই কর্ম। তিনি যত দিন বেঁচে থাকবেন, তত দিন সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের উন্নয়নে কাজ করে যাবেন।