
আরিফুল ইসলাম সুমন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে।।
নানা বাড়িতে বেড়ানো শেষে ফেরার পথে নিজেদের মোটরসাইকেল উল্টে কাউছার ও আমানুল্লাহ নামে দুই বন্ধু আহত হন। চিকিৎসা নিতে আহত দু’জনেই জেলা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে আসেন। তাদের চিকিৎসা চলা অবস্থায় কাউছার মারা যান। আহত বন্ধুর মৃত্যুর বিষয়টি চিকিৎসকের কাছে নিশ্চিত হয়ে, বন্ধু আমানুল্লাহ আহত অবস্থায়ই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।
বুধবার বিকেলের দিকে আলোচিত এ ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে।
নিহত কাউছার মিয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামের অহিদ মিয়ার পুত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা এলাকায় সড়কে তাদের বহনকারী মোটরসাইকেলটি উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন দুই বন্ধু কাউছার ও আমানুল্লাহ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল সূত্র জানায়, বুধবার বিকেলে আহত অবস্থায় দুই যুবক হাসপাতালে আসে। তারা রেজিস্টারে আমানুল্লাহ ও কাউসার নামে জরুরী বিভাগ থেকে চিকিৎসার টিকেট নেয়। এর মধ্যে কাউসারের অবস্থা গুরুতর ছিল। দুইজনকে চিকিৎসা দেওয়ার মাঝে কাউসার মারা যায়। তখন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় আমানুল্লাহ নামের অপর যুবক।
এদিকে সন্ধ্যায় পালিয়ে যাওয়া আমানুল্লাহ টেলিফোনে কাউসারের পরিবারকে তার মৃত্যুর খবর জানায়।
নিহত কাউসারের মামা মোঃ আবুল হোসেন জানান, দুপুরে আমানুল্লাহর নানা বাড়ি আড়াইসিধা যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় কাউসার। সন্ধ্যায় আমরা জানতে পারি কাউসার সদর হাসপাতালে মারা গেছে।
অপরদিকে হাসপাতালের রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা আমানুল্লাহর মুঠোফোন নম্বরে কল দিলে তার ছোট ভাই ইমরান জানায়, আমানুল্লাহ বাড়িতে নেই। তবে বাড়ি থেকে যাওয়ার আগে নাকি বলে গেছে, আশুগঞ্জের আড়াইসিধা থেকে ফেরার পথে মোটরসাইকেল উল্টে কাউসার মারা গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডের থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুনুর রশিদ জানান, হাসপাতাল থেকে জানানোর পর আমরা মর্গে গিয়ে কাউছারের লাশ দেখি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।