কিশোরগঞ্জে বিপাকে ধানের চারা বিক্রেতারা কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পানি বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছে আমন ধানের চারা বিক্রেতারা। ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের আকবর নগর বাসস্ট্যান্ড এলাকার রাস্তার দু’পাশে বসে প্রতিদিনই বসে চারা বিক্রির হাট। এ হাটে প্রায় ৪০ জন ধানের চারা ব্যবসায়ী রয়েছেন। এখানে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে কৃষকরা আসে মৌসুমের ধানের চারা কিনতে। এ সড়কের দু পাশে গত ২৫ বছর ধরে বসছে এই হাট। এ হাটে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার চারা বিক্রয় হয় বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
প্রতি পন (২০ গণ্ডা বা ৮০ মোটা) ধানের চারা বিক্রি হতো ১৬ শ থেকে ২০০ হাজার টাকায় তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়। বর্তমানে আমন ধানের চারা রোপণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। যারা দেরীতে রোপণ করছেন তারা পড়ছেন বিপাকে। চারা কিনতে এসে যে চারা পাওয়া যাচ্ছে তা রোপণের অনুপযোগী।সরেজমিনে জানা যায়, আমন মৌশুমের শুরুতেই নদনদীর পানি বাড়তে থাকায় অধিকাংশ বীজতলা ডুবে গেছে। জমিতে পানি জমে থাকায় চারাও রোপণ করা যাচ্ছেনা। ফলে এ হাটে বিক্রি কমে গেছে। অবিক্রিত চারাগুলো হাটেই নষ্ট হচ্ছে।
সারা দিনে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকার চারা বিক্রি হয় না। এক আটি চারার দাম ২০ টাকা থেকে নেমে ৭ থেকে ৮ এসেছে। ফলে লোকসানের মুখে পড়েছে চারা বিক্রেতারা। হাটে তুলা অবিক্রিত ও জমিতে থাকা চারাগুলোও নষ্ট হচ্ছে।ক্রেতারা জানান, মৌশুমের শুরুতে আমন ধান রোপণ শুরু হলেও মাঝামাঝি সময়ে নদনদীর পানি বেড়ে গেছে। ফলে অধিকাংশ জমিতে ধান রোপণ করা যাচ্ছেনা।
কিছু কিছু জমি রোপণের উপযোগী থাকলেও দেখা দিয়েছে চারা সংকট। হাটে এসে যে সকল চারা পাওয়ায় যাচ্ছে তাও রোপণের অনুপযোগী।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম বলেন, এ বছর ১১০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের বীজতলা আবাদ হয়েছিল। এর মধ্যে রেপা আমনের আমাদের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২১৭০ হেক্টর। এ পর্যন্ত আমরা ৮ শ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। এবার রোপা আমনের মৌশুমে প্রথমেই বৃষ্টি না থাকার কারণে দেরি হয়েছিল। এখন যে বর্তমান সময়টা বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।