লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: রবিন হোসেন তাসকিন
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দুইজন। তারা হলেন, একেএম শাহজাহান কামাল ও গোলাম ফারুক পিংকু।
তবে এদের মধ্যে কে হবেন নৌকার চূড়ান্ত প্রার্থী ? এমনই প্রশ্নে ধোঁয়াশায় সাধারণ মানুষ। তাদের ধারণা, জনপ্রিয়তা মূল্যায়ন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কোন একজনকে নৌকার দায়িত্ব দিবেন। এখন এ দু’জনের মধ্যে জনপ্রিয় মুখ খুঁজছেন তারা।
শাহজাহান কামাল বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। গোলাম ফারুক পিংকু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তারা দু’জনই চূড়ান্ত মনোনয়নের অপেক্ষায় রয়েছেন।
জানা গেছে, রোববার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে একই চিঠিতে তাদের মনোনয়নের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত দলীয় মনোনয়ন পত্রে যথাক্রমে তাদের দুইজনেরই নাম রয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জনপ্রিয়তা ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৮ ডিসেম্বর একজনকে দলীয় মনোনয়নে চূড়ান্ত করা হবে। এদিক থেকে কে এগিয়ে আছেন, এনিয়ে নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে নেতাকর্মী ও ভোটারদের মাঝে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একসময়ের সন্ত্রাসের জনপদ খ্যাত লক্ষ্মীপুর এখন শান্ত। এ অঞ্চলের সন্ত্রাস দমনে প্রশাসনের পাশাপাশি শাহজাহান কামাল ও গোলাম ফারুক পিংকুর ভূমিকা রয়েছে। মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে শাহজাহান কামাল রাষ্ট্রীয় সফরে এসে বিভিন্ন সভা-সেমিনার অংশগ্রহণ, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।তবে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করতে তার তেমন কোন ভূমিকা দেখা যায়নি।
এদিকে গোলাম ফারুক পিংকু জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে দলকে সুসংগঠিত করতে কাজ করছেন। গত ২ বছর সদর উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে ঘুরে ঘুরে নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন সভা-সেমিনার করেছেন। আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ও সফলতা তুলে ধরে ইউনিয়নের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে নারীদের নিয়ে উঠান বৈঠক করেছেন। এসময় শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে ভোট চেয়েছেন তিনি।
আওয়ামী লীগের ক্ষমতার এ ১০ বছরেও লক্ষ্মীপুরে দলীয় কোন কার্যালয় করতে পারেনি। তবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ব্যক্তিগত রাজকীয় কার্যালয় আছে।দলের বিভিন্ন কার্যক্রম আলাদাভাবে তারা স্ব-স্ব কার্যালয়ে আয়োজন করে থাকেন।
অন্যদিকে দলীয় কার্যালয় না থাকায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।