
শাফাত রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
আজ (২৫শে নভেম্বর) রাত ৯ টায় “এসো বন্ধু, জীবন নৌকার হাল ধরি, পাল তুলি….” শীর্ষক একটি শিক্ষার্থী সংলাপ ও নির্বাচনী কর্মীসভা আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগ। সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন। সভায় ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে প্রশ্নোত্তর পর্বে নিজেদের দাবি জানায় বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের কর্মীরা।
এই সভায় সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নয়ন হাওলাদার এবই সভাপতিত্ব করেন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফকির রাসেল। প্রশ্নোত্তর পর্বে কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ক্যাম্পাসে অবাধে গণপরিবহন চলাচলে যানজট সৃষ্টির ব্যাপারে ছাত্রলীগ ব্যবস্থা নেবে। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অটোরিকশা চলাচলের সিস্টেম চালু করতে ছাত্রলীগ ব্যবস্থা গ্রহন করবে। সভায় ক্যাম্পাসে রিকশা ভাড়া নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে জোর দেয়া হয়। ডাকসু নির্বাচন সম্পর্কে বলতে গিয়ে এক পর্যায়ে সাদ্দাম হোসাইন বলেন, ছাত্রলীগ চায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডারে ডাকসু নির্বাচনের স্থায়ী তারিখ সংযোজিত হোক। এরপর তিনি ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের সফলতা নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রশ্নোত্তর পর্বে হল ছাত্রলীগের কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে ইসলাম ধর্মকে যতটা সমৃদ্ধ করেছে, কোনো ইসলামী দলও তা করতে পারবে না। আওয়ামী লীগ কোনো ধর্মবিরোধী দল না বলে উল্লেখ করেন তিনি। হল ছাত্রলীগের এক কর্মী স্কুল পর্যায়ে ছাত্রলীগ কমিটি নিয়ে দাবি জানালে তার উত্তরে সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেন, স্কুলে পর্যায়ে ছাত্রলীগের ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দুটি দিক রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, স্কুল পর্যায়ে ছাত্রলীগ কমিটির জন্য মারামারি কোনোভাবেই কাম্য নয়। সভায় ছাত্রলীগ নেতারা নির্বাচনের সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মীদের ক্যাম্পাসে অবস্থানের আহ্বান করেন। বাকশাল সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেন, তৎকালীন সময়ে যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ গঠনে বাকশাল অবশ্যই যৌক্তিক ছিল। উল্লেখ্য, এর আগে গত ২০ নভেম্বর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে একইরকম সভার আয়োজনের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি জানতে এবং মত বিনিময়ের জন্য সভা আয়োজনের পদক্ষেপ শুরু করা হয়। এ পর্যন্ত মোট ১২ টি হলে এই সভার আয়োজন করা হয়।